বীরভূম থেকে মুছল অনুব্রতর নাম-ছবি! আমূল পরিবর্তন নানুরের দলীয় কার্যালয়ের!

আমূল পরিবর্তন নানুরের দলীয় কার্যালয়ের!তবে কি বীরভূমের রাজনীতি থেকে সত্যিই মুছে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল?

একটা সময় বলা হতো, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ ছাড়া বীরভূমে একটা পাতাও গাছ থেকে পড়ে না। সেই অনুব্রতই প্রায় ১ বছর ধরে তিহার জেলে বন্দি হয়ে রয়েছেন। বোলপুরে অনুব্রত যে বাড়িতে সকাল থেকে রাত, শুধুই ভিড় জনস্রোত নজরে আসত সেসব এখন উধাও। ধীরে ধীরে তাঁর ‘অনুরাগী’রা দূরত্ব বাড়িয়েছেন বীরভূম জেলা কার্যালয় থেকেও। বর্তমানে বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের গড়ে অনুব্রত মণ্ডলের একের পর এক ছবি ও নাম দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে।

দলীয় কার্যলয়ের দেওয়ালে একদিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তারপাশে অনুব্রত মণ্ডলের ছবির জায়গায় রং লেপা রয়েছে।দেওয়াল জুড়ে তৃণমূল নেত্রী ও দলের নামে স্লোগানের পাশাপাশি লেখা ছিল, অনুব্রত মণ্ডল কেষ্টদা জিন্দাবাদ। সেখানে, বাকি সব লেখা অক্ষত থাকলেও রাতারাতি মুছে ফেলা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের নাম। দল তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরায়নি। কিন্তু, তাঁর অস্তিত্ব কি ক্রমশই ফিকে হচ্ছে বীরভূম থেকে? অনুব্রতকে কি ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে?

বরাবরই রাজনৈতিক মহলে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ যুযুধান পক্ষ বলে পরিচিত। সেই বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতির গড়েই অনুব্রত মণ্ডলের ছবি মোছার নেপথ্যে কাজল শেখের হাত দেখছেন অনেকে। যদিও, তা মানতে চাননি কাজল-ঘনিষ্ঠরা।

এই বিষয়ে নানুরের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিষয়টি স্পষ্টভাবে আমার জানা নেই। তবে এমনও হতে পারে, পুজোর আগে আমাদের কথা আছে রং করে নতুন করে দলীয় কার্যালয় গুলি সাজানো। অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে দলীয় স্তরে খোঁজখবর নেওয়া হবে।’

অভদিকে এই বিষয়টি জানাজানি হতেই কটাক্ষ শুরু করেছেন গেরুয়া শিবির। সবমিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।এখন এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।

 

 

আরো দেখুন:Bank Holiday:অক্টোবর মাসে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে ১৮ দিন!মাস পড়ার আগেই জেনে নিন সেই তালিকা