মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের লক্ষ্য (Industry) শিল্প এবং কর্মসংস্থান।
এই নিয়ে কাজ করতে গিয়ে শিল্পমহলের সঙ্গে রাজ্যের শিল্প পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বড় শিল্পের পাশাপাশি দেশীয় শিল্পকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন।
কারণ দেশীয় শিল্পের বৃদ্ধি ঘটলে গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত হবে।
এদিন বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলা আগামী দিনে বিনিয়োগের গন্তব্যস্থল।
সামাজিক সব কাজ আমরা করেছি। তাই শিল্প, কর্মসংস্থান, পরিকাঠামোই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য।
আর্থিক পরিস্থিতিও উন্নতি হচ্ছে। স্বাস্থ্য-শিক্ষা-পরিকাঠামোতে বাড়তি কাজ হয়েছে।
আমি দেখতে চাই, এই রাজ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হচ্ছে। তাই এবার ডোমেস্টিক ইন্ডাস্ট্রিকে আমরা অগ্রাধিকার দেব। বাংলা আগামীদিনের ইন্ডাস্ট্রির ডেস্টিনেশন।’
এপ্রিল মাসেই শুরু হতে চলেছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে তাজপুরের বন্দর এবং দেউচা পাঁচামিকে সামনে নিয়ে আসতে চায় রাজ্য সরকার।
৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে জঙ্গলমহলেও। উত্পাদন, ইস্পাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণেরও সেই প্রস্তাব আসছে।
ফলে আরও বেশি করে দেশীয় শিল্পে (Industry) জোর দেওয়া হবে। বড় শিল্পের পাশাপাশি দেশীয় শিল্পই হবে আস্তিনের তাস।
আগামী এপ্রিল মাসে শিল্প সম্মেলনে বিনিয়োগের উপর জোর দিতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এবার দেশীয় শিল্পকে অগ্রাধিকার দেব। বড়, মাঝারি, ছোট ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসরণ করা হবে।
বিদেশি যাঁরা আসবেন, তাঁদেরও স্বাগত। ফলে সব মিলিয়ে একটা ইতিবাচক কাজ হবে।’
এরপরই বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি যাতে না আসে, তার জন্য কেউ কেউ আবার পলিটিক্সও করবে।
মানুষের সঙ্গে কখনও কোনও অমানবিক কাজ যেমন আমরা করব না।
সেরকম মনে রাখতে হবে যে কারও কোনও দুঃসহ অপশাসনের কাজও আমরা বরদাস্ত করব না।’