প্রায় সাড়ে তিন দশক পর কাঁথি পুরসভায় ( Kanthi Municipality)থাকবে না অধিকারী পরিবারের কোনো প্রতিনিধি।
তার পরেও কাঁথির পুরভোটের লড়াই যে তাঁর কাছে সম্মান রক্ষার, প্রচারে বেরিয়ে সেই বার্তাই দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর আর্জি, ”ঘরের ছেলেকে সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে আশীর্বাদ করবেন।”
পাশাপাশি তিনি আবেগময় কথায় বলেন, ”কাঁথিতে পদ্মফুলকে জেতাতেই হবে। নইলে আমি গোটা রাজ্যে লড়াই করব কী ভাবে!”
তৃণমূলের মতে, কাঁথিতে (Kanthi Municipality)জেতা যে অসম্ভব বুঝেই এমন মন্তব্য করছেন বিজেপি বিধায়ক।
পটাশপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় পুর-নির্বাচনী কমিটির অন্যতম সদস্য উত্তম বারিক বলেন, ”বিধানসভা ভোটে অনেকে ওঁর (শুভেন্দু) কথা শুনে ভুল করেছেন।
তবে পুরসভায় উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে কাঁথির মানুষ এ বার আর বিরোধী দলনেতার ফাঁদে পা দেবেন না, সেটা উনি ভাল করেই বুঝতে পেরেছেন। তাই নিজের কষ্টের কথা সকলকে বলে বেড়াচ্ছেন।”
শুভেন্দু নন্দীগ্রামের বিধায়ক, সেখানকারই ভোটার। তবে তাঁর পরিবারের ও নিজেরও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি মূলত কাঁথি কেন্দ্রিক।
দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক ধরে কাঁথি পুরসভাও ‘অধিকারী পরিবার’ দ্বারাই পরিচালিত হয়েছে।
এই প্রথম কাঁথি পুর-নির্বাচনে অধিকারী বাড়ির কেউ প্রার্থী নন।
বিজেপির প্রার্থী পদ পাননি শুভেন্দুর ছোটো ভাই, দীর্ঘদিন পুরপ্রধান পদে থাকা সৌমেন্দু অধিকারীও।
কাঁথিতে পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া শুভেন্দু এলাকায় থেকে প্রচার সারছেন। তাঁর একটাই আর্জি অন্তত কাঁথি পুরসভাটি আসুক গেরুয়ার দখলে।