ম্যাগনাস কার্লসেনের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে চেন্নাইয়ের রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দা (Pragyananda)।
প্রথম যখন আন্তর্জাতিক মাস্টার হয়, সেইসময় তাঁর বয়স ছিল নয় বছর। সেটিও এক বিশেষ নজির ছিল।
গ্র্যান্ডমাস্টারও হয়েছে দশবছরে, বিশ্বে এমন ঘটনাও দূর্লভ।
১৬ বছরের এই বিস্ময় কিশোরের চারবছর আগেও নানা সমস্যা ছিল। ছোট্ট ছেলেটির ছিল পোলিও সমস্যা।
চেন্নাইয়ের তালদাবা ক্লাব থেকে উত্থান হয়েছিল বিশ্বনাথন আনন্দের।
আর প্রজ্ঞা উঠে এসেছে আর রমেশের কোচিং স্কুল থেকে। তিনিই করোনা কালে অনলাইন দাবায় প্রজ্ঞাকে আধুনিক করে তোলেন।
রমেশের কোচিংয়েই দিশা খুঁজে পায় প্রজ্ঞা (Pragyananda)। ২০১৩ সালে অনূর্ধ্ব-৮ বিশ্ব খেতাব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল প্রজ্ঞা।
তার প্রতিভার দীপ্তিতে মুখরিত হয়ে গিয়েছিল দাবা দুনিয়া। এমনকি শচীন তেন্ডুলকারও টুইট করে জানিয়েছেন প্রজ্ঞার দক্ষতা নিয়ে।
এই সাফল্যের পরে প্রজ্ঞানন্দা বলেছে, ” এখনও পর্যন্ত এটাই আমার কাছে অন্যতম সেরা জয়।
কার্লসেনকে হারানোয় যে কোনও দাবাড়ুর কাছেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আমার ক্ষেত্রেও একই হয়েছে।
আমি কখনই ওকে এগিয়ে যেতে দিইনি। শুরু থেকেই চাপে রাখি। তাতেই আমি জিতে গিয়েছি।”
প্রজ্ঞার দাবায় মুগ্ধ বিশ্বনাথন আনন্দও। তিনি নিজেও আলাদা করে এই খুদে দাবাড়ুর প্রসঙ্গ বারবার তুলেছেন।
কার্লসেনকে ৩৯ চালেই হারিয়ে বাজিমাত করে দেয়। প্রজ্ঞার বাবা রমেশবাবুও উচ্ছ্বসিত ছেলের পারফরম্যান্সে।
যিনি বিদেশে খেলতে পাঠানোর সময় ছেলের সঙ্গে পাঠান প্রেশার কুকার।
রমেশবাবু বলেন, “বিদেশে খাবারের দাম অত্যাধিক। তাই প্রেশার কুকার পাঠাতে হয় সঙ্গে করে, তাতেই ভাত তৈরি করে
নেয়, আমার মেয়েও সঙ্গে থাকে ছেলের। কারণ আমার ছেলে খুব ঘুমোতে ভালবাসে।”