বৃহস্পতিবার মানেই সিরিয়াল জগতের মহা যুদ্ধ। কারণ এই দিনকেই কোন সিরিয়াল কাকে পিছনে ফেলে কতদূর এগিয়ে গেলো, কতোটা দর্শকদের মন জয় করতে পারলো তা বিচার করার দিন। প্রতি বৃহস্পতিবারের মতো এবারেও প্রকাশিত হলো এই সপ্তাহের টিআরপি (TRP) তালিকা।
তবে এবার টিআরপি তালিকার অনেকটাই উপরে উঠে এসেছে সন্ধ্যাতারা। স্টার জলসার ৭:৩০ মিনিটের স্লটে সম্প্রচারিত হয় এই ধারাবাহিক। টিআরপি তালিকায় এত ভালো ফল করে কেমন লাগছে অন্বেষার (Annwesha Hazra)? জিজ্ঞেস করতেই তিনি উদাসীন ভাবে বললেন, ‘আমার না উত্তেজনা লাগছে না। আমাদের সিরিয়াল চার্টের উপরে থাক,নীচে থাক। তলানিতে চলে যাক, আমার সত্যি কিছু উত্তেজনা বা দুঃখ পাওয়া কোনওটাই হয় না টিআরপি নিয়ে’।
শুধু তাই নয়, তিনি এও বলেন টিআরপি কোনওদিন তাঁকে ভাবায় না। অভিনেত্রী বললেন, ‘টিআরপি-র দৌড় নিয়ে সবাই কথা বলে। এই প্রতিযোগিতা তো মূলত দুটো লিডিং চ্যানেলের মধ্যে। আমার শুরুটা কিন্তু কালার্স, আকাশ এই সব চ্যানেলে। শুরু হয়েছিল ‘কাজললতা’ দিয়ে। আমার প্রথম বড় কাজ (চুনী পান্না) স্টার জলসাতেই।
আমার প্রথম ডিরেক্টর অনুপমদা আমাকে বলেছিল টিআরপি-র নিরিখে সবকিছু হয় না। আজ টিআরপি ৬.৪ হল, যদি কোনওদিন ১৬.৪ হয় বা -০.৪ হয়। যে কাজটা ১৪ ঘন্টা আমাকে ফ্লোরে এসে করতে হয় সেটা বদলাবে না। টিআরপি আমার কাজকে ভালো বা খারাপ করে দেবে না… কোনওদিন টিআরপি আমাকে এফেক্ট করতে পারেনি’।
পর্দার সন্ধ্যা স্পষ্ট বললেন, ‘তাই টিআরপি নিয়ে আমার বিরাট আনন্দ হচ্ছে বা নাচানাচি হচ্ছে, মাতামাতি হচ্ছে বা খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে এমনটা নয়। টিআরপি আমাদের হতাশও করে না, আবার বাড়তি উৎসাহ জোগায় না’।
তবে জি বাংলার ৭:৩০ মিনিটের স্লটে সম্প্রচারিত ধারাবাহিক “ফুলকি” তার থেকে এগিয়ে আছে অনেকটাই। কিন্তু তাতেও অন্বেষা (Annwesha Hazra) কোনরকম চিন্তা করছেন না। বরং তিনি চান পর্দার ফুলকি অর্থাৎ দিব্যানির যাতে আরো উন্নতি হয়। প্রতিযোগীতায় যেতে চান না সকলের প্রিয় পর্দার সন্ধ্যা।
আরও পড়ুন: Scientists:সুখবর,ক্যান্সার সনাক্তে নতুন উপায় আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
Image source-Google