প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জবাব চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তথা ইউজিসি। কিন্তু যাদবপুরের দেওয়া সেই উত্তর যথেষ্ট না হওয়ায়, ফের জবাব তলব করা হল ইউজিসি-র তরফে। এবার মোট ১২টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। মূলত র‍্যাগিং ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেই সম্পর্কে তথ্য ও সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে পাঠাল ইউজিসি। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হত কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এদিন।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। অভিযোগ উঠেছে, হস্টেলে র‍্যাগিং-এর শিকার হতে হয়েছিল ওই পড়ুয়াকে। ইতিমধ্যেই ইউজিসি-র তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, ইউজিসি-র সব নিয়ম মানা হয়েছিল কিনা, র‍্যাগিং আটকাতে হেল্পলাইন নম্বর খোলা ছিল কিনা, আদৌ সেই নম্বর নতুন পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছিল কিনা। এছাড়াও র‍্যাগিং-এর শিকার হলে পড়ুয়াকে কী করতে হবে, সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল কিনা, সেই প্রশ্নও রাখা হয়েছিল এই চিঠিতে। পাশাপাশি এহেন অপরাধে কী শাস্তি হতে পারে সে ব্যাপারে পড়ুয়ারা আদৌ ওয়াকিবহাল ছিলেন কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই চিঠির উত্তর দিলে তাও খতিয়ে দেখে তারপরই ইউজিসি প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাতে সঠিক তথ্য ও প্রমাণ দাখিল করা হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

 

আরো দেখুন:TMC:গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের-দল থেকে বহিষ্কৃত গঙ্গাজলঘাঁটির দুই তৃণমূল নেতা