আজ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মেগা ডে। ২১ জুলাই। শহিদ দিবস। পঞ্চায়েত ভোটের পর এই দিনটিকে বিজয় উত্সবের মতোই আজ পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস।আজ সকাল থেকেই তুমুল উদ্দীপনা নিয়ে ধর্মতলা চত্ত্বরে যাওয়া শুরু করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
এদিন ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর ভাষণের শুরুতেই তোলেন মণিপুর প্রসঙ্গ।এছাড়াও একাধিক বিষয় নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন এদিন তিনি।
এদিন মমতা বলেন, এই সরকার বেটি বাঁচাও-এর কথা বলে। কিন্তু আদতে মেয়েরা জ্বলছে দেশে। তাঁর কথায় উঠে আসে বিলকিস বানোর প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, যারা ধর্ষণ করল তাদের ছেড়ে দেওয়া হল, জামিন দেওয়া হল। যারা আসল দোষী তাঁদের কোনও শান্তি হয় না। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর কথা, ”কোথায় গেল বেটি বাঁচাও স্লোগান? দেশের বেটিরা এখন জ্বলছে।” এদিন ধর্মতলা চত্বরে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ সভামঞ্চে বক্তৃতা দিতে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে অভিষেক বলেন, ‘আগামী ৫ অগাস্ট শনিবার। রাজ্যের ব্লক, পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা যেখানে যে বিজেপি নেতা আছে তাদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করবেন। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৬ টা, ঘেরাও করে রাখুন। বিজেপি নেতাদের আটকে রাখুন। সেই বিজেপি নেতা যেন বাড়ি থেকে বেরোতে বা ঢুকতেও না পারে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপের প্রতি ব্লক, বুথে গণঘেরাও হবে। ৫ অগাস্টে এদের বাড়ি ঘেরাও হবে। তারপর দিল্লির দফতরও ঘেরাও হবে।’
এই বছরের ২১ জুলাই বাকি বছরগুলোর তুলনায় একটু আলাদা। একদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল সাফল্য়ের পরে এটাই প্রথম ২১ জুলাই। অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই শেষ ২১। ফলে আজকের দিনটিকে ঘিরে যে তৃণমূলের বাড়তি উন্মাদনা থাকবে সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
আরো পড়ুন:IND vs PAK: বিশ্বকাপে ভারত পাক ম্যাচের জন্য হাসপাতালের বেড বুক করছেন ক্রিকেট ভক্তরা