ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তার কলম ছিল অক্লান্ত!বাংলায় প্রবাসী।ইংরেজিতে মর্ডান রিভিউ!এবং হিন্দিতে বিশাল সম্পাদনা করেছেন তিনি।বাঁকুড়ার (Bankura) ভূমিপুত্র তথা ভারতবর্ষের প্রথম বিশ্ববরেণ্য সাংবাদিক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের (Ramananda Chatterjee) ছিল সোমবার ১৫৯ তম জন্মদিবস।আর মহান এই সাংবাদিকের জন্মদিবস এদিন সাড়ম্বরে পালন করা হলো বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের জয়পুর বনলতা রিসোর্ট সংলগ্ন এলাকায়।
প্রসঙ্গত,১৮৬৫ সালে ২৯ শে মে বাঁকুড়ার পাঠকপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।তার কর্মজীবন শুরু হয় কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপনার কাজ করে।পড়ে এলাহাবাদ কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগ দেন তিনি।এবং এলাহাবাদে থাকার সময় থেকেই ১৯০১ সালে প্রবাসী পত্রিকা প্রকাশ করেন।তারপর ১৯০৭ সালে মডান রিভিউ ইংরেজি পত্রিকা প্রকাশ করেন।ভগিনী নিবেদিতা পত্রিকাতেও লেখালেখি কাজ শুরু করেন তিনি।এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপরে দ্য গোল্ডেন বুক অফ টেগর বইটি প্রকাশ সম্পাদনা করেন তিনি।
শুধু বই প্রকাশ করেই থেমে থাকেননি তিনি।একাধিক দেশ-বিদেশে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছিলেন। যেমন লীগ অফ নসেন্স এর আমন্ত্রণে রামানন্দ ইউরোপে গিয়েছিলেন।শুধু তাই নয়,পেন ইন মাইটার দ্যান সোড তিনি নিজেকে নির্ভীক সাংবাদিক হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছিলেন।তবে সব কিছু থমকে যায় ১৯৪৩ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর।মাত্র ৭৮ বছর বয়সে এই নির্ভীক সাংবাদিক পরলোক যাত্রা করেন।চির সমাপ্তি ঘটে তার কর্মজীবনেরও।
তবে আজও ভারতবর্ষের মানুষ তাকেই সাংবাদিকের জনক হিসাবে মনে রেখেছেন।তাই প্রতিবছরের মতো এবছরও সাড়ম্বরে তার জন্মদিবস পালন হলো।এদিন বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লক এবং কোতুলপুর ব্লকের মানুষদের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার সাংবাদিকরা সকলে মিলে তার চরণে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন।এবং দিনটিকে মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন।এদিনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে সাধারণ মানুষদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরো পড়ুন:Digha:গ্রীষ্মের দাবদাহেও ভাটা পড়েনি সমুদ্র সৈকত দিঘাতে!বরং, বিরাজ করছে এক খুশির আমেজ