মন্ত্রী বীরবাহ হাঁসদার (Bibaha Hansda) উপর হামলার প্রতিবাদ। ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল ৮ জুন রাজ্য জুড়ে ২৪ ঘন্টা ধর্মঘটের ডাক দিল। জঙ্গলমহলে কুড়মি আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এবার আদিবাসীরা যৌথ মঞ্চ তৈরি করে নিজেদের দাবি রক্ষার আন্দোলনকে আরও মজবুত করার ডাক দিল। এদিন ধর্মঘটকারীরা বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মারধর ও হামলা চলতে পারে না।”
ঘটনার সূত্রপাত শুরু হয় শুক্রবার। সেদিন বিকেলে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন গড় শালবনি এলাকা অবরোধ করতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় ওই এলাকা দিয়ে যায়। অভিষেকের গাড়ির পেছনে মন্ত্রী বীরবাহ হাঁসদা, বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদার গাড়ি। বীরবাহা ও দেবনাথের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বীরবাহার গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করেও পাথর বর্ষণ করা হয়। বাইকে থাকা তৃণমূল কর্মীদেরও লাঠি ও বাঁশ দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জল গড়ায় অনেকদূর।
হামলার ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। তদন্তকারীরা তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং খুনের চেষ্টা সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে ধর্মঘট ডেকেছে ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। ওই সংগঠন আগামী ৮ জুন রাজ্য জুড়ে বনধের আহ্বান জানিয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা পরগনার ডাংরা হাঁসদা বলেন, “প্রত্যেকেরই আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু এ ধরনের মারধর ও হামলা কোনো গণতন্ত্রে অগ্রহণযোগ্য। আমরা এরই প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।”
আরও পড়ুন:Yashasvi Jaiswal: WTC ফাইনালের আগে জাতীয় দলের দরজা খুলে গেল যশস্বীর জন্য