রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) রিপোর্ট অনুযায়ী, চার পুরনিগমের ভোটে দু-একটি বিক্ষিপ্ত বাদে কোনও অশান্তিই হয়নি। স্ক্রুটিনিতে মেলেনি গরমিল।
পুনর্নির্বাচনের আর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমে ভোটের ফল বেরবে ১৪ ফেব্রুয়ারি, সোমবার।
চার পুরনিগমের ভোটে নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল ৯ হাজার বাহিনী। যার মধ্যে সাড়ে ৮ হাজার ছিল বুথের দায়িত্বে।
বাকি ৫০০ বাহিনী ছিল কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিংয়ের জন্য।
বিরোধীরা অভিযোগ করেছে ভুয়ো ভোটারের। বিরোধীরা অবশ্য প্রতিবারের মতো এবারও চারটি পুরনিগমেই ভোট লুঠের দাবিতে সরব হয়েছে।
আরও পড়ুন :TMC : বৈঠকে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির নাম ঘোষণা
শিলিগুড়ি বাদ দিয়ে বিধাননগর, চন্দননগর ও আসানসোলে ভোটের নামে শাসকদল প্রহসন করেছে ও গণতন্ত্রের সমাধি হয়েছে বলে অভিযোগ প্রধান বিরোধী দল বিজেপির।
সব ওয়ার্ডে আবার ভোটের দাবি তুলে মূলত বিধাননগরের ভোট নিয়ে কোর্টে যাওয়ারও জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
প্রহসনের প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
অন্য দুই বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেসের তরফেও ভোট লুঠ ও বুথ দখলের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
যদিও নির্বাচন কমিশন (Election Commission) স্পষ্টতই জানিয়েছে, সব অভিযোগ সত্যি ছিল না। কমিশনের কথায়, “কয়েকটি ভুয়ো অভিযোগও এসেছে।”
কমিশন সূত্রে খবর, আসানসোলে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় ধৃত ৩২ জন। নির্বাচনের কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, চার পুরনিগমের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পড়ে শিলিগুড়িতে। চার পুরনিগম মিলিয়ে গড়ে ৭২ শতাংশ ভোট পড়েছে।