ভারতকে (India) আবারও কালো তালিকায় রাখার সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন কমিশন। টানা চার বছর ভারত সরকারের বিরুদ্ধে এই সুপারিশ করা হল।

ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)‌ তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।‌

প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্বের কারণে ভারতকে কালো তালিকায় রাখার সুপারিশ করার পাশাপাশি ভারতকে
‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসাবে মনোনীত করতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউএসসিআইআরএফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের (India) ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১৪ শতাংশ মুসলিম, প্রায় ২ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ১.৭ শতাংশ শিখ। আর দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশই হিন্দু।

প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার ২০২২ সালে জাতীয়, রাজ্য এবং স্থানীয় পর্যায়ে ধর্মীয় বৈষম্যমূলক নীতির প্রচার ও প্রয়োগ করেছে। এর মধ্যে ধর্মান্তরকরণ বা ধর্মপরিবর্তন, হিজাব পরা এবং গোহত্যাকে লক্ষ্য করে আইন প্রণয়নও রয়েছে।

এই ধরনের পদক্ষেপ মুসলমানদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিসহ খ্রিস্টান, শিখ, দলিত, আদিবাসী ও তফসিলি উপজাতিসহ আন্তঃধর্মীয় সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন, ‘প্রাকৃতিকভাবে বহুত্ববাদী সমাজ হিসাবে ভারত ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের প্রতি যত্নশীল।’

শুধু ভারত নয়, ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য আরো বেশ কয়েকটি দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করেছে ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম।