মালদার স্কুলে (School) অস্ত্র হাতে এক ব্যক্তির ঢুকে পড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার পরেই তিনি জানিয়েছেন, স্কুলের পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় দারোয়ান নিয়োগ করা হবে।
যতক্ষণ না তা সম্ভব হচ্ছে, ততক্ষণ স্থানীয় থানাকে কী ভাবে এই কাজে যুক্ত করা যায়, তা নিয়েও প্রশাসনকে ভাবতে বলেছিলেন তিনি।
প্রশাসনিক বৈঠকেও মুখ্যসচিবকে স্কুলে দারোয়ান নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্তত মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে এই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই বিদ্যালয় (School) শিক্ষা দপ্তর ও অর্থ দপ্তরকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। রাজ্যে প্রায় সাড়ে নহাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এই বিদ্যালয়গুলির অনেকগুলিতে এক সময়ে দারোয়ান ছিল। কিন্তু তাঁরা অবসর নেওয়ার পরে নতুন করে সেই শূন্যপদ পূরণ হয়নি।
বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর দারোয়ান নিয়োগের বিষয়ে লকডাউনের আগে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, দারোয়ান না-থাকায় অনেক সময়ে গ্রামের হাইস্কুল থেকে নথি লোপাট হয়।
সব স্কুলে একসঙ্গে দারোয়ান নিয়োগ করা সম্ভব না হলেও সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে যাতে প্রথম দফায় এই নিয়োগ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।