নদিয়ার হাঁসখালিতে তৃণমূল (TMC) নেতা আমদ আলির খুনের ঘটনায় হুগলি থেকে গ্রেপ্তার হলো বাবা-ছেলে।শনিবার হুগলি থেকে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল সকালে হাঁসখালি থানার বড়চুপড়ি এলাকার বাসিন্দা আমোদ আলি বিশ্বাস বাজার করতে ছোট চুপড়িয়া বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। প্রথমে মোটর বাইকে করে দুই ব্যক্তি এসে তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। এরপরেই তারা আমোদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তৃণমূল নেতা আমোদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্‍সক। এই ঘটনায় চায়ের দোকানের মালিক আব্দুল খালেক মণ্ডলকে পরদিন অর্থাত্‍ ৮ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে রানাঘাট আদালতে তোলা হলে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান বিচারক।

পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গিয়াস উদ্দিন ও শাহীন খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল। তাদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এমনকী তাদের খোঁজে সম্প্রতি ভিন রাজ্যেও গিয়েছিল পুলিশ। পুলিশের অনুমান সেখান থেকেও পুলিশের তাড়া খেয়ে কোনওভাবে পালিয়ে আসে দু’জন।

পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে,বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ছবি পাঠানো হয়।এমনকি পুলিশ তাঁদের খোঁজে ভিন রাজ্যেও পাড়ি দেয়।এরপরই পুলিশ কর্তারা জানতে পারে সেখান থেকে কোনোভাবে পালিয়ে এসে বৈঁচিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বাবা ও ছেলে।

খবর পেয়ে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ আধিকারিক অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলে অভিযান।শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ বৈঁচি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ।পরে হাসখালি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এদিন হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেছেন, রানাঘাট পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছিল।সব থানাকে এলার্ট করা ছিল।সূত্র মারফত খবর আসে পুলিশের কাছে।খবর পেয়ে পান্ডুয়া থানার পুলিশ খুব তত্‍পরতার সঙ্গে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।অভিযুক্তদের হাঁসখালি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

 

আরো পড়ুন:Kangana Ranaut: কর্ণকে ঠিক কি কারণে ধন্যবাদ জানালেন কঙ্গনা?