পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আজ সাংগাঠনিক জেলার সভাপতিদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কেমন হবে পঞ্চায়েত ভোট, কীভাবে প্রার্থী নির্বাচন হবে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে তৃণমূলের ভূমিকা কী হবে, এদিনের বৈঠকে সেই রূপরেখা তৈরি করে দেন তিনি।

আর সেখানেই কোচবিহারের দুই প্রথমসারির নেতা উদয়ন গুহ এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সতর্ক করেন অভিষেক।বলে রাখা প্রয়োজন, উত্তরে এই দুই নেতার সংঘাতের খবরে মাঝে মধ্যেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় তৃণমূলকে। অন্যদিকে ফের একবার বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েতের কথা শোনা গিয়েছে দিনহাঁটার বিধায়কের মুখে। বলেন, জেতা তো দূরের কথা, একজন বিরোধী প্রার্থীও যেন দাঁড়াতে না পারে।এরপরেও কেউ দাঁড়ালে এই দায় তৃণমূল প্রধান এবং ব্লক সভাপতিদের বলেও দাবি করেন উদায়ণ গুহ। এহেন মন্তব্যেও দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়।

তাই এবার এই দুই নেতার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন এদিন অভিষেক।বলেন,-‘অনেকে বিধায়ক করেননি কাজ। উদয়ন গুহ ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আপনাদের এলাকায় কেউ কেন যেতে পারবে না?জলপাইগুড়ির দুটো অঞ্চলে ব্লক সভাপতির সাথে অঞ্চল সভাপতির ঝামেলা কেন? দুটো দিন সময় দিলাম। কাজ না হলে পদ থেকে সরিয়ে দেব।’

এরপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন,-‘পরশু দুপুর ১২’টার মধ্যে জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ যেন তৈরি হয়। ১৭ তারিখের মধ্যে ব্লক কমিটি যেন পূর্ণাঙ্গ তৈরি হয়। ১৭ তারিখ অবধি সময় বেঁধে দিলাম।’

অভিষেক আরও বলেন,-‘আগামী ২৪ তারিখের মধ্যে অঞ্চল কমিটির পূর্ণাঙ্গ করতে হবে। একতরফা যদি কেউ কমিটি রিলিজ করে তাহলে তা বাতিল করে দেব। দলের স্বার্থে কাজ করুন আপনারা। ২০১৮ আর ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে অনেক ফারাক। অনেক পার্থক্য থাকবে। বিধায়ক- সাংসদ বাছাইয়ের মতো করে ভোট হবে এই পঞ্চায়েতে। আপনারা আপনাদের রেকমেন্ডেশন দলকে পাঠান। সবার সঙ্গে আলোচনা করে নাম পাঠান। এমন কিছু নাম এসেছে যাদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ আছে। তাদের দল প্রার্থী করবে না।’

দলকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে অভিষেকের আরো সংযোজন,-‘করে খাওয়ার জায়গা পঞ্চায়েত নয়। আপনাদের আবারও বলে দিচ্ছি, প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। আপনাদের থেকে প্রাপ্ত তালিকা আমরা নেত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেব। মানুষের কাজ করুন। দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে মানুষের কাছে যাবেন। ব্লক সভাপতিরা যোগাযোগ রাখুন বিধায়কের সঙ্গে। আচ্ছা, আপনারা বুথ কর্মীদের খোঁজ কেন রাখেন না? তাদের বলছি, আপনারা কী ভাবছেন? অফিসে বসে হোয়াটসঅ্যাপে দল চলবে নাকি? পরের ভোটে জিতবেন কি করে? মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান।’

 

আরো পড়ুন:Amit Shah:এক ইঞ্চি জমিও কেউ নিতে পারবে না:অমিত শাহ