আসানসোলে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই বিজেপি (BJP) নেতার। রবিবার রাতে আসানসোলের বারাবনি থানার আমডিহা পেট্রল পাম্পের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত দুই বিজেপি নেতার নাম বাবলু সিংহ ওরফে ভোলা এবং মহেন্দ্র সিংহ। দু’জনেরই বয়স প্রায় ৪০ বছর।
সূত্রের খবর, এদিন বাইকে করে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে আসানসোল থেকে গৌরান্ডি যাচ্ছিলেন মহেন্দ্র এবং বাবলু। সেই সময় পেট্রোল পাম্প থেকে তেল ভরে বেরোচ্ছিল ডাম্পারটি। বাবলু-মহেন্দ্রর বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে সেটি। ছিটকে পড়েন বাইকের দুই সওয়ারিই। ডাম্পারটি পালিয়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বারাবনি থানার পুলিশ। দুজনকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাবলু সিংকে ইতিমধ্যেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সক। মহেন্দ্রকে স্থানান্তরিত করা হয় আসানসোল এইচএলজি-তে। পরে সেখানে তাঁরও মৃত্যু হয়।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে যান আসানসোল জেলা সভাপতি দিলীপ দে, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। এরপরই বিস্ফোরক মূলক অভিযোগ করে বসেন দিলীপ এবং কৃষ্ণেন্দু। তাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ষড়যন্ত্র করেই এই দুই বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, বিজেপি করার দায়ে দুই নেতাই বারাবনি গ্রামে নিজের বাড়িতে থাকতে পারতেন না। তবে বাবা-মাকে দেখতে গ্রামে গিয়েছিলেন দুই নেতা। সেখান থেকে ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পাশাপাশি এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বারাবনি অঞ্চলে তৃণমূলের চোখের চোখ রেখে রাজনীতি করতেন বাবলু সিং। ওঁর জন্যই বিজেপির বারাবনি অঞ্চলে সংগঠন মজবুত হয়ে উঠেছিল। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরিয়ে দেওয়া হল বাবলু সিংকে। এটা সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত থাকাটাও কোনও আশ্চর্য কিছু নয়।’
আরো পড়ুন:Paschim Medinipur:জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা হাসপাতালের!কবর দিতে গিয়ে চমকে উঠল পরিবার