জীবিত শিশুকে মৃত বলে ডেথ সার্টিফিকেট দিল ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে পরিজনদের মধ্যে বিরাজমান গভীর শোক। এমন আবহেই ‘মৃত’ শিশুকে বাড়ি নিয়ে আসার পর বেঁচে উঠল সে। পুরো ঘটনায় স্পষ্ট সরকারি হাসপাতালের গাফিলতি! এটি পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটাল মহকুমার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘটনা।

পরিবার সূত্রে খবর, গত ৭ই এপ্রিল প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন গড়বেতার বরডিহা গ্রামের বাসিন্দা মোনালিসা খাতুন। ৮ই এপ্রিল বেলা ১টা নাগাদ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মোনালিসা। শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায়, শিশুটিকে রাখা হয় এসএনসিউ-তে। এরপর দুপুর ২টো নাগাদ কর্তব্যরত নার্স জানতে পারেন শিশুটি মারা গেছে। হাসপাতালের তরফে বিকেল ৫টা নাগাদ শিশুটিকে ‘অফিসিয়ালি ডেথ’ ঘোষণা করা হয় এবং শনিবার রাত ৮টা ৫০মিনিট নাগাদ শিশুর পরিবারের হাতে ডেথ সার্টিফিকেট ও রাত্রি ৯টা ১০মিনিট নাগাদ মৃত শিশুটিকে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এরপর পরিবারের লোকেরা ওই শিশুকে প্লাস্টিকে মুড়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং রাতেই শিশুটিকে সমাধি দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন। তবে, কবরে দেওয়ার আগেই পরিবারের লোকেরা দেখতে পান শিশুটি নড়ছে ও শ্বাস নিচ্ছে৷ এরপরই শিশুটিকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ফের ঘাটাল হাসপাতালে হাজির হন এবং শিশুটিকে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় হতবাক ওই শিশুর পরিবারের সদস্য-সহ অন্যান্য মানুষজনও। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে৷ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিশুর পরিবারের সদস্যরা৷ এমন ঘটনায় তাজ্জব স্বাস্থ্য দফতরও৷ কীভাবে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্তও৷ একই সঙ্গে গোটা ঘটনায় নিন্দার ঝড় রোগী ও তাঁদের পরিজন মহলে৷

 

আরো পড়ুন:Shahrukh Khan: শাহরুখের মুখে আফগানি ভাষা, শুনে অবাক সকলে!