এবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে গিয়ে বৃদ্ধের মুখে ‘চোর’ শুনে মেজাজ হারালেন বড়ঞার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা।জানা গিয়েছে,বুধবার বড়ঞা ব্লকের কুরুন্নরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের মান্দ্রা অশ্বিনী কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শনে আসেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।অভিযোগ,সেই সময় গ্রামের এক বাসিন্দা বিধায়কের সম্মুখেই আঙুল উচিয়ে তাকে চোর বলে সম্বোধন করে।আর তারপরই রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিধায়ক।

সূত্রের খবর,এদিন বড়ঞা ব্লকের কুরুন্নরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের মান্দ্রা অশ্বিনী কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকার শিবিরে বার্ধক্যভাতা প্রকল্পের আবেদন জমা দিতে আসেন গ্রামেরই এক বাসিন্দা সূর্য ঘোষ।বৃদ্ধের দাবি, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বার্ধক্য ভাতার আবেদন করতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যাম্পের কর্মীরা জানান, বার্ধক্য ভাতার আবেদন এখন করা যাবে না। শিবির থেকে ফিরে যাওয়ার পথে বিধায়কের মুখোমুখি হন বৃদ্ধ। যদিও বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তিনি চিনতে পারেননি। না চিনেই বিধায়কের কাছে সমস্যার কথা জানান তিনি। বিধায়কও তাঁকে আবেদনের পদ্ধতি বোঝানো শুরু করে। এরই মধ্যে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ‘চোর’ বলে ওঠেন বৃদ্ধ। বলেন, লাখ লাখ টাকা চুরি করে নিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। পঞ্চায়েত প্রধান ও বিধায়কের টানাপোড়েনে সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।এর পর নিজের পরিচয় দেন জীবনকৃষ্ণ বাবু। পালটা বৃদ্ধকে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন তিনি। পরে বৃদ্ধ জানান বিধায়ককে চিনতে পারেননি তিনি।

এই প্রসঙ্গে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন,-এই ধরনের কথা ওই ব্যক্তিকে শিখিয়ে দেওয়ায় উনি আমাকে না চিনে, না বুঝেই এমন মন্তব্য করেছেন।আমি উনার সঙ্গে কথা বলে পরে সেটা বুঝতে পারলাম।আমি মানুষের জন্য মানুষের উন্নয়নে কাজ করি।কেউ আমার বিরুদ্ধে কোনো কিছু বললে কোনো প্রভাব পড়বে না।আমি মানুষের জন্য মানুষের উন্নয়নে কাজ করি।কেউ আমার বিরুদ্ধে কোনো কিছু বললে কোনো প্রভাব পড়বে না।

 

আরো পড়ুন:Bankura:স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্ঘবদ্ধ করতে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রদান ইলেকট্রিক ঢেঁকি