তবে কি আবারো ফিরতে চলেছে বাম (CPIM) জামানা?তেহট্টের চিত্র যেনো সেই কথা বলছে।৩০০ জন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী আবারও ধরল তৃণমূলের হাত।মূলত,৩৪ বছর আগে দাপুটে দল ছিল সিপিআইএম।কিন্তু তৃণমূল আসার পর সেই চিত্র পরিবর্তন হয়।বলা যায়,একপ্রকার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এই দল।তবে বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতিতে যেভাবে তৃণমূল দলের ওপর প্রভাব বিস্তার হয়েছে,তার ফলেই হয়তো এমন চিত্র দেখা গেলো মনে করছে বিশিষ্ট জনেরা।
রবিবার তেহট্ট থানার শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শাসকদলের পতাকা ছেড়ে সিপিএমের পতাকা তুলে নিলেন প্রায় ৩০০ জন।শ্যামনগরে একটি পথসভায় তাঁদের হাতে কাস্তে হাতুড়ি তারা আঁকা পতাকা তুলে দেন তেহট্টের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা রঞ্জিত মণ্ডল এবং এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস।যদিও এই দলবদলের কোনও প্রভাবই পড়বে না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রবিবার শ্যামনগরের পঞ্চায়েত সদস্যা নুরজাহান বিবি, তাঁর স্বামী হাবিব শেখ-সহ প্রায় ৬০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ দেয়। নুরজাহানে কথায়, ”তৃণমূল এখন দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এই দলের হয়ে আর ভোট চাইতে যেতে পারব না। আর বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়ার ক্ষমতাও নেই। সিপিএমই একমাত্র দল যারা এই লড়াই করতে পারে। তাই এই দলে যোগ দিলাম।”
এই যোগদান নিয়ে সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, ”মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে বুঝতে পেরেছেন যে সর্বসাধারণের জন্য কাজ করে একমাত্র সিপিএম। আর বিজেপি-তৃণমূলের সেটিং আছে। এটা তো দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও মানুষ আমাদের দিকে ফিরবেন। আমরাই তো সারা বছর মানুষের পাশে থাকি।” তবে এই বিষয়টিকে যে মোটেও পাত্তা শাসকদল দিচ্ছে না, তা বেশ ভালো বোঝা গেলো।তৃণমূল দলের দাবি, এর ফলে দলের লেশমাত্র ক্ষতি হচ্ছে না। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিশ্বরূপ রায়ের কথায়, ”এসব ঘটনা একদমই গুরুত্বহীন। তবে বিস্তারিত ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখব।”
আরো পড়ুন:Kaogachi:টাকার বিনিময়ে চাকুরী দেওয়ার অভিযোগে কাউগাছিতে তৃণমূলের কাঁদা ছোরাছুরি