তিলজলার পর এবার মালদার (Malda) গাজোলে সংঘাতে জড়ালেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। শনিবার ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গাজোলে নির্যাতিতার বাড়ির সামনে একই সময় উপস্থিত হয় দুই কমিশনের প্রতিনিধিরা। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয় তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতি। চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো-কে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এবং কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খোদ কেন্দ্রীয় কমিশন।

অন্যদিকে, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দিকে হাতে জুতো নিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় তৃণমূলনেত্রী সাগরিকা সরকারকে। যদিও, পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। পরে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই মালদার গাজোলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়েই তদন্ত করতে শনিবার সকালে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের। কিন্তু তাঁরা পৌঁছনোর আগেই রাজ্যের আধিকারিকদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা এবং তাঁরা নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন। এর প্রায় আধ ঘণ্টা পরেই সদলবলে সেখানে পৌঁছন প্রিয়ঙ্কও। আর এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তর্কাতর্কি। যদিও, পুলিশের হস্তক্ষেপে তা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে, বর্তমানে চরম উত্তপ্ততা বিরাজ করছে গোটা এলাকা জুড়ে।

 

আরো পড়ুন:Arkaja Acharya: বিশ্ববসু বিশ্বাসের সাথে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণ কি দিতিপ্রিয়া?