গতপরশু দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। এরপর গতকালই সাংসদপদ খারিজ হয় (Rahul Gandhi) রাহুল গান্ধীর।
এই আবহে আজ এই প্রথম সাংবাদিক মুখোমুখি হলেন রাহুল গান্ধী। এবং আজও তিনি মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমি একদম প্রথম থেকে শুরু করছি।
আমি একটাই প্রশ্ন করেছিলাম। আদানিজির পরিকাঠামোর ব্যবসা আছে, কিন্তু ব্যবসায় খাটানো টাকা তাঁর নয়।
আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম এই ২০ হাজার কোটি টাকা কার? মিডিয়ার রিপোর্ট থেকে তথ্য নিয়েছি।
নরেন্দ্র মোদী ও আদানির সম্পর্ক নতুন নয়। নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই এই সম্পর্কের শুরু।
বিমানে বসে থাকা নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেখালাম। আমার বক্তৃতা মুছে ফেলা হল। আমি স্পিকারের কাছে বিস্তারিত চিঠি লিখেছি এরপর।’
এরপর রাহুল বলেন, ‘কিছু মন্ত্রী আমার সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন।
আমি নাকি বিদেশি শক্তির সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু এমন কোনও কাজই আমি করিনি। আমি প্রশ্ন করা বন্ধ করব না।
আমি প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকব।’ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি এরপর বলেন, ‘সংসদে বক্তব্য রাখা আমার অধিকার।
কিন্তু আমাকে বলতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমি স্পিকার স্যারের চেম্বারে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কেন তিনি আমাকে কথা বলতে দিচ্ছেন না।
তিনি হেসে বললেন যে তিনি আমাকে বলেতে দিতে পারবেন না। তিনি আমাকে তাঁর সাথে এক কাপ চা খেতে বললেন এরপর।’
রাহুল বলেন, ‘আমি এখানে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে এসেছি।
আমি তাঁদের ভয় পাই না। এটা আমার ইতিহাসে নেই। আদানি এবং নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে সম্পর্ক কী, তা আমি জিজ্ঞাসা করতে থাকব।’
রাহুল এরপর আরও বলেন, ‘সংসদে ফের যাতে আদানিকে নিয়ে কোনও ভাষণ দিতে না পারি, তার জন্যই আমার সাংসদপদ বাতিল করা হল।
আদানিজিকে নিয়ে ফের কী না কী বলব, তাতে ভয় পেয়েছেন মোদী।
তাঁর চোখে আমি ভয় দেখতে পেয়েছি। তাই আমাকে আর সংসদে দেখতে চান না তিনি।
প্রথমে তাই নজর ঘোরানো হল। তার পর আমার সাংসদপদ বাতিল করা হল। মোদী এবং আদানি, এই দু’জনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক। ভুয়ো সংস্থা
মারফত ২০ হাজার কোটির বিনিয়োগ হল কীভাবে? প্রতিরক্ষা
সংস্থার তরফে বিনিয়োগ হল কীভাবে? প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছেও এর কোনও জবাব নেই।’