সোমবার প্রয়াত হয়েছেন নৈহাটি (Naihati) বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডক্টর তরুণ অধিকারী (Tarun Adhikari)।তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক ও চিকিত্সা জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।এদিন এই খবর পাওয়া মাত্রই সকাল থেকে তার গুনমুগ্ধরা তার বাড়িতে এসে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এদিন তরুণ অধিকারীকে তার বাড়িতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে বলেন,-“তরুণ দার হাত ধরেই রাজনীতিতে আসা।আমাদের দলের খুব কর্মযজ্ঞ নেতা ছিলেন তিনি।তবে অসুস্থ জনিত কারণে সম্প্রতি তেমন ভাবে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে পারতেন না।কিন্তু ২০১৯ এ তৃণমূল কংগ্রেসের সাড়া ব্যারাকপুর জুড়ে যখন বিপর্যয়,বিজেপির ধ্বংসস্তূপ কার্যকলাপ চলছে।ঠিক সেই সময় অসুস্থ শরীর নিয়েও তরুণ দা আমাদের ডাকা মিটিংয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।স্বাভাবিক ভাবেই তার মৃত্যু আমাদের কাছে অত্যন্ত মর্মান্তিক।আমরা একজন অভিভাবককে,এবং একজন সুপরামর্শ দেওয়া ব্যক্তিকে হারালাম।”
তরুণ অধিকারীর ছোটো ভাই চিকিৎসক তপন কুমার অধিকারী বলেন,-“দীর্ঘদিন ধরে উনি জনসেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।নৈহাটির ১০ বছর বিধায়ক ছিলেন।উনি জনগণকে নিয়ে সবসময় ভেবেছেন।জনগণও যেভাবে সকাল থেকে এসে ওনাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাতে আমরা অভিভূত।আজকে সাধারণ জনসাধারণ থেকে শুরু করে বিধায়ক এবং পৌর প্রধান সবাই এসেছেন।সবাইকে আমাদের তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।ওনার মৃত্যুতে সবারই একটা বিরাট বড় ক্ষতি হলো।”উল্লেখ্য,বেশ কিছুদিন ধরে তরুণ অধিকারী বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।এদিন সকালে নৈহাটিতে তিনি প্রয়াত হন।তিনি ১৯৮৭ ও ১৯৯১ সালে নৈহাটি কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।এছাড়াও বিশিষ্ট চিকিত্সক তরুণ অধিকারী বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজকর্মের সঙ্গে বরাবরই জড়িত ছিলেন তিনি।বলা বাহুল্য,তাঁর প্রয়াণ এদিন রাজনৈতিক ও চিকিত্সা জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি ঘটল।
আরো পড়ুন:Mukul Roy : মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর কেমন আছে মুকুল রায়?