বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব কটি হাসপাতালকে উন্নয়নে ভরিয়ে দিয়েছে।বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এখন কোনো অংশেই সরকারি হাসপাতাল কম না!তাও কেনো দিনের পর দিন ক্রমশ রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে?এই নিয়ে শুক্রবার জেলাশাসকের দফতরে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী (Narayan Goswami) এবং পৌরসভার পৌর প্রধান প্রবোধ সরকার।আর এদিনের এই বৈঠকে বিধায়ক এবং পৌর প্রধানের কাছে হাসপাতালের সুপার রামকৃষ্ণ হেমব্রমকে তীব্র ভৎসনার মুখে পড়তে হয়।

কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ কমে যাওয়ায় সুপারের দিকে আঙুল তুলে এই বিষয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন দু’জনে।এদিন বিধায়ক নারায়ণ বাবু বলেন,-“আমরা সবসময় চাই হাসপাতালের পরিকাঠামো যাতে সঠিক হয়।মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যের ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ ও সতর্ক।তিনি রোগীদের পরিষেবা দেবেন বলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকে শুরু করে বর্তমানে আবার আরম্ভ করেছেন দুয়ারে ডাক্তার।ঠিক এই মুহূর্তে দাড়িয়ে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল খুবই অনুন্নত।কোনো কিছুই এই হাসপাতালে ঠিক মতো হচ্ছে না।সরকারের সাহায্য থাকলেও এই হাসপাতালে পরিচালন ব্যবস্থায় গাফিলতি প্রচুর আছে।”

অন্যদিকে প্রবোধ সরকার বলেন,-“এই হাসপাতালের সুপারের যতটুকু দেখা উচিত,তিনি ততটা দেখতে পারছেন না।এছাড়াও তাকে ফোনে সবসময় পাওয়া যায়না।পরিচালন ব্যবস্থা ঠিক না হওয়া ডাক্তারদের মধ্যে গাফিলতি থাকছে।তাই আমরা চেষ্টা করছি খুব তাড়াতাড়ি এটা ঠিক করার।”যদিও হাসপাতালের মানোন্নয়ন নিয়ে যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই হাসপাতালের সুপার রামকৃষ্ণ হেমব্রম এই বিষয়ে একটি শব্দও এদিন উচ্চারণ করেননি।কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে রাখেন।এখন শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই দেখার!

 

আরো পড়ুন:Amit Shah: শুক্রবার দিল্লিতে শাহ-রাজ্যপাল বৈঠক