উত্তর ২৪পরগনা জেলার সদর শহর বারাসাত (Barasat),আর সেই বারাসাত শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বারাসাত ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে কীর্তিপুর ১ নং পঞ্চায়েতের বাধা গ্রামে প্রায় ১২০০ মানুষের বসবাস। ভোট আসে ভোট যায়, তবুও স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবী শুধুমাত্র একটি পাকা সেতু, সেটি পূর্ণতা পায় না!বিদ্যাধরি নদীর উপর দিয়ে প্রত্যহ তারা ঢিল ছোড়া দূরত্বে অপর জেলায় পৌঁছন। বিদ্যধরি নদী পার করলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা’র কাশিপুর গ্রাম। দুই জেলার দুটি গাছে দড়ি বেঁধে, সেই দড়ি টেনে নিয়ে নৌকা ভাসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে নদী পারাপার। দড়ি টাঙিয়ে নির্মিত এই সেতুতে স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে প্রাণের ঝুঁকি। সেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বারাসাত ২ নং ব্লকের মানুষেরা রোজ পারাপার করেন।
নদীর সন্নিকটেই রয়েছে দোকানপাট, বাজার, প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল, হাসপাতাল। রোজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বারাসাতের পড়ুয়ারা স্কুলে যাচ্ছে। মাঝি, কৃষক সকলেই পারাপার করছেন ওই দড়ির সেতুর উপর দিয়ে। অপর জেলা থেকেও চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ আসেন বারাসাত গভঃমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি, বিদ্যাধরি নদী পারাপারের জন্য তৈরি করা হোক পাকা সেতু। ভোট আসে ভোট যায় সেতু তৈরি কথা দিলেও আজ অবধি একটা পাকা ইটও দেখতে পাওয়া যায়নি। গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে সেতু তৈরির দাবি জানালেও আজ অবধি তার কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।
বহু যাত্রীদের রোজ পারাপার করান নৌকাচালক কাসিম শেখ। তিনি বলেন, “আজ তিরিশ বছর ধরে নদীর পারাপার দড়ি ধরেই চলছে। প্যাসেঞ্জারও তেমন হয় না, রোজগারও নেই আর প্রচন্ড খাটনি। পানা ভর্তি এই নদী, এখানে পাকা সেতু হলে সকলেরই সুবিধা হবে।”
পাকা সেতুর মাধ্যমে দুই জেলার সংযোজন হলে গ্রামবাসীরা উপকৃত হবেন। তাঁদের কথায়, “আমরা খুব উপকৃত হবো, বিদ্যধরি নদীর উপর পাকা সেতু হলে বাজারে যেতে পারি, সবজি আনাজ, মাছ, এগুলো আমরা আনতে পারি।“
যদিও এ বিষয়ে বারাসাত ২ নং ব্লকের বিডিও বলেন,,,, “বিদ্যধরি নদীর উপর খেয়া পারাপারের বিষয় সম্পর্কে আমরা অবগত। সেচদপ্তরকে জানানো হয়েছে কিন্তু এখনও কোনো অনুমোদন আসেনি, তবে অনুমোদন আসলে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
আরো পড়ুন:Shreelekha Mitra: বনিকে কটাক্ষ করে কি বললেন শ্রীলেখা?