শনিবারই ভাঙ্গরে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্যানি পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে।আর সেই দায়িত্ব দেওয়ার এক দিনের মধ্যেই শওকত মোল্লাকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।প্রতিদিনের মতো রবিবাসরীয় সকালেও নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাত:ভ্রমণে গিয়েছিলেন দিলীপ বাবু।
সেখানে সংবাদমাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে তিনি বলেন,-“শওকত মোল্লা যখন জেলা প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন সব থেকে বেশি হিংসা হতো।ভোট পরবর্তী হিংসা ভোটের আগে নাড্ডাজি এসেছিলেন শিরাকোলে তার গাড়ি ঘিরে মারা হয়েছিল।শওকত মাইক নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে লোককে উত্তেজিত করছিল,আমি নিজে দেখেছি।গুন্ডারা ছাড়া ওদের নেতা হতে পারবে না আর মারপিট ছাড়া ওরা ভোট জিততে পারবে না।”এদিন আরো একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি।শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন,-“যে কাল অবধি মোবাইল সারাতো সে আজ কয়েকশো কোটি টাকার মালিক।সিবিআই অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে,তাঁদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে হানা দিচ্ছে।পরিচিত লোকের কাছে টাকা লেনদেন চলে।আমরা দেখেছি অনুব্রতর মেয়ের গাড়ির ড্রাইভার,অনুব্রতর দেহরক্ষীরা কয়েকশো কোটি টাকার মালিক।”
ডিএ ইস্যু নিয়ে বর্তমানে আসরে নেমেছেন স্বয়ং রাজ্যপাল।এই প্রসঙ্গে দিলীপ বাবুর উক্তি,-“রাজ্যপাল এখানকার অভিভাবক। যখন কোনও অচল অবস্থা তৈরি হয়, ওঁর দায়িত্ব নেওয়া উচিত।উনি রেসপন্স করেছেন।”তবে বকেয়া ডিএ দিতে রাজ্য সরকার যে অপারগ সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েননি তিনি।বলেন,-“সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।মানুষ সরকারকে ভোট দিয়েছিল সুশাসন পাওয়ার জন্য সরকার সেটা দিতে পারছে না।কর্মচারীদের অধিকার রক্ষিত হচ্ছে না তাই তারা আন্দোলন করছেন।সরকার তাদের বাধ্য করেছে এই পরিস্থিতিতে যেতে।রাজ্যপাল যখন এই বিষয়টা দেখছেন তখন সরকারকে কথা বলতে বাধ্য করা উচিত।সরকার কি পারবে সেটা কথা বলে মেটানো উচিত।নয়তো পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে।”
আরো পড়ুন:Durnibar Saha: দুর্নিবারের দ্বিতীয় বিয়েতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিপাকে পড়লেন কৌশিক