শুক্রবার বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন (Swasthya Bhawan) অভিযানেও রণক্ষেত্র নিলো সল্টলেকের করুণাময়ী এলাকা।পুলিশের মারে গুরুতর জখম অব্দি হন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।মূলত,রাজ্য জুড়ে ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করছে অ্যাডিনো ভাইরাস।তার দাপটে প্রাণের বলি দিচ্ছে একের পর এক শিশু।হিসেব বলছে,মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শুক্রবার পথে নেমেছিল বিজেপির যুব মোর্চা।যেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।এদিন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অর্থাৎ ঠিক একটা নাগাদ সেইখানে জমায়েত হন তারা।কোলে প্রতীকী শিশু নিয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দেন অগ্নিমিত্রা পাল।

তিনি বলেন,-“পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দফতর উদাসীন। আইসিইউ-র সঠিক পরিকাঠামো নেই।”রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরো বলেন,-“রাজ্য সরকারে হাতে শুধু পুলিশ আছে। সেই পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে।”এরপরই এই অভিযান ঠিক স্বাস্থ্যভবনের দিকে এগোতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেই।পুলিশের সঙ্গে শুরু হয়ে যায় বিজেপির কর্মীদের তুমুল ধস্তাধস্তি।ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তাদের মিছিল।এমনকি অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের।হাত অব্দি কেটে যায়।তাঁদের তত্‍ক্ষণাত্‍ শুশ্রূষার ব্যবস্থাও করা হয়।এরপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা পাল।তিনি বলেন,-“স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিডের সময়ও কোমর্বিডিটির কথা বলেছিলেন।

এবারও একই কথা বলছেন। অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশু মৃত্যু হচ্ছে। এই অবস্থায় কেন উনি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না?”এরপরই অগ্নিমিত্রা পালকে গ্রেফতার করা হয়।এবং তার সাথে বিধাননগর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় আরও বেশ কয়েকজন।তাঁদের সবাইকে প্রিজন ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।এখন এই ঘটনার রেশ কোন দিকে পৌঁছায় সেটাই দেখার।

 

আরো পড়ুন:Madan Mitra:”চড়াম চড়াম ঢোল বাজাবো”! কেষ্টগড়ের দায়িত্ব নিতে চান মদন মিত্র