সরকারি অফিসে (Government office) ফাঁকিবাজির অভিযোগ নতুন নয়। অনেক সময়ই চেয়ারে দেখা পাওয় যায় না সরকারি কর্মীদের।
ফলে পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। তাই মানুষ যাতে সঠিক পরিষেবা পান, সেদিকে নজর দিতে সরকারি অফিসে
দু’বেলা অ্যাটেনডেন্সের দাবি জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপের কথায়, ”সরকারি অফিসে এই কালচার আনা হোক। সকাল বিকেল সই হোক।”
ঘটনার সূত্রপাত, ডিএ সহ বিভিন্ন দাবিতে শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের তরফে ডাকা হয়েছিল একদিনের ধর্মঘট। ধর্মঘট ব্যর্থ করতে তত্পর ছিল সরকারও।
দিনের শেষে সরকারিভাবে ধর্মঘট ব্যর্থ। ওই প্রসঙ্গেই দিলীপের দাবি, ”ওনারা বলছেন প্রচুর হাজিরা। সই আছে কি? কাল পাঁচ বার
অ্যাটেনডেন্স নেওয়া হয়েছে। অন্যদিন হয় না কেন? হলে তো মানুষ সঠিক পরিষেবা পেতেন। আর এরাও পরিষেবা দিয়ে ডিএ দাবি করতেন।”
এরপরই দিলীপের সংযোজন, ”সরকারি অফিসে (Government office) এই কালচার আনা হোক। সকাল বিকেল সই হোক।”
তাহলে কি বঙ্গের ক্ষমতায় এলে এমনই পদক্ষেপ নেবে বিজেপি? দিলীপের মন্তব্যকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা চড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে।
ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল ব্রেকের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নবান্ন।
সেই প্রসঙ্গে দিলীপের পর্যবেক্ষণ, ”এই সরকারের আর দম নেই এত বড় পদক্ষেপ করার মতো। হুমকি দিয়ে কারুর অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া যায় না।”
এই প্রসঙ্গেই দিলীপের টিপ্পনি, ”বনধের কালচার বাংলায় পপুলার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
তবুও ‘মানবিকতার’ খাতিরে সরকারি কর্মীদের প্রতি দিলীপের আবেদন, ”কাজ সচল রেখে আন্দোলন করুন।”
এই প্রসঙ্গেই ফিরহাদ হাকিমকেও আক্রমণ করেছেন দিলীপ। বস্তুত, ফিরহাদের দাবি ছিল, আগে লক্ষী ভাণ্ডারের মতো সামাজিক প্রকল্প, পরে ডিএ।
দিলীপ বলেন, ”উল্টোটা নয় কেন? আমরা বাড়িতে ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, ওষুধ এবং দুধের জন্য খরচ বাঁচিয়ে তারপর অন্য খাতে খরচ করি। সরকারি কর্মচারিরা বাড়ির ছেলের মতো।
তাদের অধিকার আগে মিটিয়ে দিয়ে পরে দান খয়রাত করুন। দুয়ারে সরকার দরকার হতো না।
সরকার নিজের ব্যার্থতা ঢাকতে এই প্রকল্প এনেছে। কর্মীদের অধিকার ফিরিয়ে দিন। সরকারি অফিসে কাজের পরিবেশ ফেরান।”