পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও বারাসাতকে (Barasat) উন্নয়নের পথে একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলো বারাসাতের সাংসদ তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদার।বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ছোট জাগুলিয়া অঞ্চলের বামনগাছি কুলবেড়িয়া এলাকায় একটি পুকুর আছে।যেখানে বিভিন্ন জায়গার প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।তবে পুকুরের অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় এর জন্য মানুষের ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিনের।মশা মাছির উপদ্রপে পরিপূর্ন হচ্ছিল এলাকা।এর মধ্যেই দিদির দূত কর্মসূচিতে এসেছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।সেখানে এই বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষরা সাংসদের কাছে তুলে ধরেন।এবং সেই অভিযোগ শোনার ১০ দিনের মধ্যেই পদক্ষেপ নেন তিনি।ছোট জাগুলিয়া অঞ্চলের ওই পুকুর সংস্কার ও কংক্রিটের ঘাট তৈরি করার জন্য সাংসদ তহবিলের ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন তিনি রবিবার।
পাশাপাশি জানানো হয় সেই কাজ শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই।এখন কিভাবে?কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে?সেটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য এদিকে ওই পুকুরের চারিপাশ পরিদর্শনে আসেন বারাসাত পঞ্চায়েত সমিতি শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দীপক কুমার রায়,ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েত সদস্য রিমা দাস,ছোট জাগুলিয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বাকিবুল্লা সরদার,সুশান্ত দাস পুটু সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা।পরিদর্শন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সম্মুখীন হয়ে তারা বলেন,-সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার তিনি আমাদের বারাসাতের উন্নয়নের কান্ডারী।আমাদের সবার দিদির কাছে একটি অনুরোধ ছিল,বামনগাছি কুলবেরিয়ায় একটি পুকুর আছে সেই পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্য সংস্কারের প্রয়োজন।দিদি সেই কথা শোনার কয়েক দিনের মধ্যেই ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করায়, আমরা খুবই খুশি।দিদির জন্য আমাদের এলাকায় আর কোন অসুবিধা নেই।উন্নয়নের ছোঁয়ায় ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি এলাকায়।এই বিষয়ে এদিন বলতে গিয়ে স্থানীয়রাও প্রথমেই কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে ধন্যবাদ জানাই।
তারপরই বলেন,-আমাদের এখানে যে পুকুর তাতে মহিলা সমিতির যে পুজো হওয়ার সাথে বিসর্জন হয়।এবং বামনগাছি উলবেরিয়া সহ অনেকগুলো ঠাকুরের বিসর্জন দেওয়া হয় এখানে। পুকুরটার পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল।এই পুকুরটা এবার পরিষ্কার হলে সবার সুবিধা হবে।এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে পরিবেশটাও ভালো থাকবে।