বিখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তীর (Subhas Chakraborty) জীবনাবসান হল আজ, ২৫শে ফেব্রুয়ারি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। লোকসঙ্গীতের আঙিনায় তিনি ছিলেন একজন বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ সঙ্গীত জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।পাশাপাশি এই শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।
সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণে সঙ্গীতজগতে অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, “বিশিষ্ট লোকসঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা সুভাষবাবু ঐতিহ্যময় লোকসংগীতকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর সৃষ্ট কিছু অবিস্মরণীয় লোকগান আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তাঁর প্রয়াণে সঙ্গীতজগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।আমি সুভাষ চক্রবর্তীর পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য,‘লাল পাহাড়ির দ্যাশে যা, রাঙামাটির দ্যাশে যা’ খ্যাত এই বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র সুভাষ চক্রবর্তী।যদিও, বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড়ের বাসভবন ছেড়ে,বর্তমানে তিনি কলকাতা যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান এলাকায় থাকতেন।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,-গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন তিনি।এরপর কিছু সমস্যার কারণে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হলেও, একদিনের মাথায় তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ফের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই শনিবার সকাল ১১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বর্তমানে মৃতদেহটি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে।এরপর সেখান থেকে তাঁর মৃতদেহটি প্রথমে কলকাতা রবীন্দ্রভবনে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারপর আনা হবে বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড়ে অবস্থিত তাঁর বাসভবনে।প্রথিতযশা এই শিল্পীর মৃত্যু সংবাদ আসার পর থেকেই বাকরুদ্ধ বাঁকুড়া৷ শোকে মুহ্যমান জেলার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজন।