দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধেই সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।সপ্তাহের প্রথম দিনে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে গিয়ে এই হত্যাকান্ড প্রসঙ্গ তুলে দিলীপবাবু বলেন,-“শ্যুট আউট এ রাজ্যে নতুন ঘটনা না। তৃণমূল ইচ্ছা করে করছে।সব জায়গায় তাদের পার্টি অফিস বা নেতার বাড়িতে বোম পাওয়া যায়,বোম বাঁধা হয়, বোম ফেটে মারা যায়। আপনি যদি বোম বন্দুক নিয়ে খেলা করেন,একদিন আপনার দিকেই আসবে।তারা কেউ ভদ্রলোক না।তারা সমাজবিরোধী।তারাই এখন পার্টির নেতা।”

এছাড়াও এদিন রাজ্যে ঘটে চলে আরো একাধিক বিষয় বিস্ফোরক মূলক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা।সাগরদিঘি উপনির্বাচনে অভিষেকের আঁতাত প্রশ্নে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন,-“এ সব গল্প আগে মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন। এসব বলে কী লাভ? মানুষ সরে যাচ্ছে। তাই নিত্যনতুন তত্ত্ব খাড়া করতে হচ্ছে। যাতে মুসলিম ভোট ভাগ না হয়, তার জন্য এ সব তত্ত্ব। এত দিন মুসলিমদের এনআরসি বা বিজেপির ভয় দেখাতেন। বাংলার মানুষ সচেতন। সব বোঝেন। শুভেন্দুর সঙ্গে যে ছবি দেখানো হয়েছে, তাতে কী প্রমাণ হয়? আমি বিয়েবাড়ি গেলে অজস্র লোক আমার সঙ্গে ছবি তোলে। তার মানে কি এই যে আমি ওই দলে চলে গিয়েছি?” মূলত ইডির হেফাজতে বন্দি কুন্তল ঘোষ দাবি করেছিলেন মানিক ঘনিষ্ট তাপস মন্ডল বিজেপির ঘনিষ্ট।সেই তাপস মণ্ডলকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে সিবিআই।এই প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু এদিন বলেন,-“উনি সার্টিফিকেট দেওয়ার যোগ্য? কুন্তল, শাহিন, বিনয় মিশ্র, এরা কার সঙ্গে থাকে? কেন সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেকের ডান দিকে বাঁ দিকে এদের দেখা যায়? তারপর ওরা হল সত। তাপস হল বিজেপির দালাল? এতোদিন বলে নি কেন? যখন ভিতরে ঢুকে গেলে, তখন মনে পড়ল?”

উদয়ন গুহর বোন-ভাগ্নির বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,-“ওনার বোন ভাগ্নি পরিবারের লোক, এই ধরনের গুন্ডাদের সঙ্গে কেউ সম্পর্ক রাখতে চায়না। ওর রাজনীতি দিনহাটাতেই সীমাবদ্ধ। আমাদের এক মন্ত্রী থাকে, তার পরিবারের লোকেদের কষ্ট দিচ্ছে। এই ধরনের লোক সমাজে অবাঞ্চিত।”পাশাপাশি ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি প্রসঙ্গে এদিক দিলীপ ঘোষ বলেন,-“সরকার অযোগ্য, অপদার্থ। মানুষ প্রতিবাদ করলেই নানারকম ভয় দেখায়।”একইসঙ্গে সরকারি কর্মচারিদের অধিকার লঙ্ঘন হলে পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছেন এদিন তিনি।

 

আরো পড়ুন:Kriti Sanon : বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন কৃতি স্যানন!