সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন।ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও রাজ্য রাজনীতি কিন্তু সরগরম। জেলায়-জেলায় নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষ। এরই মাঝে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বেনজির মন্তব্য করে ফের চর্চায় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।

ফের উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেন তিনি।বুধবার কামারহাটির খাদ্য উত্‍সবে যোগ দিয়ে শিক কাবাব হাতে নিয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ‘‌পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন শিক কাবাব তৈরি করবে আমাদের ছেলেরা। বিরোধীদের জন্যও থাকছে শিক কাবাব। ভোটের দিন কাঁচা মাংস ঝলসে ঘি মাখন লেবু টিপে বিট নুন লঙ্কা দিয়ে তৈরি হবে কাবাব। এক থেকে দু’‌ঘণ্টার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে যাবে। ওদের গোলকিপার নেই। তাই ৬-৭ গোল এমনিই হয়ে যাবে।শিক কাবাব তৈরি করা শিখে রাখছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিক আর কাবাব দু’টোই কাজে লাগবে। ভোটের দিন ছেলেমেয়েরা সারাদিন খালি কাজ করবে? কাবাবটা খাবে। শিকটা খুব কাজে লাগবে। কাঁচা মাংস ঝলসানো হবে। মাখন, ঘি, মধু পড়বে। দেওয়ার আগে লেবু টিপে বিটনুন আর লঙ্কা দিয়ে তৈরি হবে কাবার। ও লাভলি।’‌ পাশাপাশি নির্বাচনে বিরোধীরা কিছুই করতে পারবেন না বলে একেবারে নিশ্চিত মদন মিত্র। বিধায়কের মতে, ‘ভোট তো সকালবেলা ১-২ ঘণ্টার। যা ভাষণ তো পাড়ায় পাড়ায়। ৫ জন লোক আর ৫ হাজার পুলিশ নিয়ে মিটিং। এমনি তো কেউ নেই। টাইব্রেকার তো দূরের কথা, এমনিতেই ৬-৭ গোল হয়ে যাবে।’

এই মন্তব্য নিয়েই রাজ্য-রাজনীতিতে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে।মদন মিত্রের এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘কোনও এক সকালে উঠে উনিও ১-২ ঘণ্টা সময় পাবেন না। জনগণ জেগে উঠলে শ্রীলঙ্কায় তো দেখেছেন রাজার প্রাসাদও লুঠ হয়েছে। মিলিটারিও ঠেকাতে পারেনি।’

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘ঠাট্টার ছলে হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়া। মাংস ঝলসে কাবাব-শিক, তার সঙ্গে দু ঘণ্টার মধ্যে ভোট, এসব বলে উগ্র মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছেন।’ অন্যদিকে, মদনের এহেন মন্তব্য নিয়ে কংগ্রস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি বলেন, ‘এটাই তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি। তৃণমূল নেতাদের এমন কথা বলিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে।’

 

আরো পড়ুন:Srilekha Mitra: কেমন প্রেমিক চান শ্রীলেখা তার বর্তমান জীবনে?