পরীক্ষায় নকল করতে না দেওয়াই কলেজের সেলিং পাখা,চেয়ার,বেঞ্চ ভাঙচুর মারামারির অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের (Barasat) সান্ধ্য কলেজের।এদিকে পরীক্ষার্থীদের পাল্টা অভিযোগ তাদের অকারণে মারধর করা হয়েছে এই কলেজে।তারা এমন কিছু করেনি।
জানা গিয়েছে,বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ পঞ্চম সেমিস্টার পরীক্ষা চলছে এই কলেজে।বুধবার ছিল এই কলেজে মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষা।সেই পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র কঠিন হওয়ায় কয়েকজন পরীক্ষার্থীরা নাকি দাবি করেন,-আপনারা নকল করার সুযোগ করে দিন।এদিকে শিক্ষকরা নিজেদের দ্বায়িত্ব পালন করায় ভাঙচুর ও দেওয়ালে অশ্রাব্য কথা লেখে পরীক্ষার্থীরা।এরপরই পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তপ্ত।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ বারাসাত থানায় অভিযোগ জানানো হয় কলেজের তরফ থেকে।এরপরই পুলিশ এসে চারজনকে আটক করে।পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চারজনই আহত ছিল।একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বারাসাত সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই বিষয়ে এদিন কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর পার্থ প্রতীম দাশগুপ্ত বলেন,-পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছিল।একাধিক সরকারি বেসরকারি কলেজের ছাত্ররা পরীক্ষা দিচ্ছে।প্রিন্সিপালের দাবি,-কিংস্টন কলেজের কয়েকজন ছাত্র কলেজে ভাঙচুর চালিয়েছে।প্রিন্সিপাল বলেন,-পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়ায় তারা নকল করতে চেয়েছিল।বাধা দেয়ায় কিছু পড়ুয়া কলেজ ভাঙচুর চালায়।এমন ঘটনা কয়েকদিন ধরেই তারা ঘটাচ্ছে।এদিকে অভিযুক্তদের পাল্টা অভিযোগ,-পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তাদের বের হতে দেরি হওয়াতে প্রথমে কথা কাটাকাটি,পরে তাদের পরিকল্পিতভাবে মারধর করা হয়।তারা কোনো ভাঙচুর এর সঙ্গে যুক্ত নয়।তাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে আপনারা জানতে পারবেন।
আরো পড়ুন:Kestopur:মতুয়াদের বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড কেষ্টপুরে