তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)!আবারও তার কাছ থেকে বিস্ফোরক মূলক তথ্য পেলো ইডি (ED) কর্তারা।ইডি আধিকারিকদের ধারণা এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গতিবেগের রহস্য অধিকাংশ ভেদ হবে কুন্তলের কাছ থেকেই।
এবার তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে,নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল প্রত্যেক চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে।শুধুমাত্র নবম-দশম নয়,আবার একাদশ-দ্বাদশ অথবা শিক্ষা দপ্তরের গ্রুপ সি বা ডি’র চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ছিল ভিন্ন ‘রেট’।
ইডি সূত্রে খবর, টেট পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। আপার প্রাইমারি বিভাগের জন্য ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম ও দশম শ্রেণীর ক্ষেত্রে সেই টাকার পরিমাণ ছিল কুড়ি লক্ষ টাকা। একাদশ ও দ্বাদশ বিভাগে টাকার অঙ্ক ২৫ লক্ষ টাকা অবধি পৌঁছে যেত। কখনও অনলাইনে, আবার কখনও নগদ টাকাও লেনদেন হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা আসত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতিদের কাছে।
সূত্রের খবর,চাকরি প্রার্থীদের প্রথমে রেট চার্ট সম্পর্কে অবগত করেই চাকরি দেওয়া হত। পরে সেই টাকা এজেন্ট মারফত চলে যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যদের কাছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে এরাই মূল মাথা ছিল।তদন্তে আরো জানা গেছে,চাকরি প্রার্থীরা কখনই একবারে টাকা দিতে পারেননি। বারবার ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হয়েছে এজেন্টদের। যারা পুরো টাকা দিয়েছে, তাঁরাই চাকরি পেয়েছে।নিয়োগ দুর্নীতির জন্য চক্রের মাথাদের তৈরি এহেন ‘রেট চার্ট’ জেনে হতবাক ইডির আধিকারিকরাও।
আরো পড়ুন:Lata Mangeshkar Death Anniversary : প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মরণে সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর!