বেশ কিছুদিন ধরেই গোপাল দলপতির খোঁজে নেমেছিল ইডি (ED) কর্তারা।কিন্তু ইডি আধিকারিকরা কখনো স্বপ্নেও ভাবি নি,সেই ব্যক্তি স্বয়ং এসে ধরা দিতে চাইবে!এমনি অবাক করা কান্ড ঘটেছে সোমবার দুপুরে।ইডি সূত্রে খবর,হটাৎ এদিন দুপুর ১টা নাগাদ এক ব্যক্তি ফোন করে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে।বলেন,তিনি গোপাল দলপতি।এবং নিজেই ইডি দফতরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।আরো জানিয়েছেন,কুন্তল ঘোষ আমার সম্পর্কে যা বয়ান দিচ্ছেন,তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।মিথ্যা অভিযোগ করছেন।আমি দেখা করতে চাই।

এরপরই ইডির তরফ থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে তলব করা হয়েছে তাঁকে।সূত্র মারফত খবর,এদিন বয়ান রেকর্ডের পাশাপাশি প্রয়োজন হলে কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসানো হতে পারে গোপাল দলপতিকে।এছাড়াও আরো একাধিক বিষয় জানার চেষ্টা করবে তদন্তকারীরা।কারণ তাদের আশা ছিল,এই গোপালের খোঁজ পেলেই এই কাণ্ডের জোট অনেকটাই খুলবে।

উল্লেখ্য,পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা গোপাল দলপতি।মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথমবার গোপাল দলপতির নাম শোনা গিয়েছিল।তারপর হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখেও এই গোপাল দলপতির নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।এরপরই তার খোঁজ শুরু করেছিল তদন্তকারীরা।জানতে পেরেছিল চিটফান্ড মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন গোপাল।এরপরই তাকে জেরা করতে চেয়ে দিল্লিতে যোগাযোগ করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা।ইডি অফিস থেকে ফোন করা হয়েছিল দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের সেকশনে।তখনই ইডিকে জানাই দিল্লি পুলিশ প্রায় এক বছর আগেই জামিন পেয়েছে গোপাল।আর তারপর থেকেই বেপাত্তা।জিজ্ঞেসবাদ জন্য গোপালকে খুঁজছিল দিল্লি পুলিশও।এরপরই শুরু হয় তার চিরুনি তল্লাশি।

এমনকি আইনি সহযোগিতা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছিল ইডি।লিগ্যাল টিমের সঙ্গে সেই মতো কথাবার্তাও শুরু হয়ে গিয়েছিল।এছাড়াও গোপালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার বিষয়ে যখন আলোচনা চলছে।আর এমন সময় এলো সোজা গোপালের ফোন।এখন এই দুর্নীতি তদন্তের জোট কার কত নাটকীয় মোড় নেই সেদিকে তাকিয়ে বিশিষ্টজনেরা।

 

আরো পড়ুন:Annie Wersching : ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় ওয়েবসিরিজ “ভ্যাম্পায়ার ডায়েরিজ” এর অ্যানি ওয়াচিং!