মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) জন্মদিন ও মৃত্যুদিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে বারাকপুরের গান্ধীঘাট।কোনো বছরই সেই চিত্র ব্যতিক্রম হয় না।আজ ছিল মহাত্মা গান্ধীর ৭৬-তম প্রয়াণ দিবস।সেই উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই সেজে উঠেছিল বারাকপুর গান্ধীঘাট (Barrackpore Gandhi Ghat)।

দেখা যায়,আজ গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের উদ্যোগে গান্ধীঘাটে এক প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল।যেখানে প্রধান অতিথি (Chief Guest) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)।এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি (Hre Krishna Trivedi), মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik), রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chacraborty) সহ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা।

এদিন সভার শুরুতে রাজ্যপাল এসে হাজির হলে উপস্থিত অতিথি এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা তাঁকে স্বাগত জানান। তারপরেই রাজ্যপাল-সহ বিশিষ্টজনের উপস্থিতে তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের শিল্পীরা রামধুন সঙ্গীত পরিবেশন করেন।আর সঙ্গীত পরিবেশনা চলাকালীন রাজ্যপাল-সহ উপস্থিত বাকি কর্মকর্তারা মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, প্রদীপ প্রজ্বলন করেন।

তবে এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল যোগ দিলেও ফিরে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি।গত বছর অবশ্য এই দিনেই ওই জায়গাতেই রাজ্য সরকারকে কার্যত আক্রমণ করেছিলেন পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar)।সেই সূত্রে ধরে এদিন অনেকেই ভেবেছিলেন বর্তমান রাজ্যপালও হয়তো এদিন কিছু বার্তা দিতে পারেন।কিন্তু সি ভি আনন্দ বোস এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ধনখড়ের দেখানো রাস্তায় হাঁটবেন না।বরঞ্চ সংবিধানের দেখানো রাস্তাতে হেঁটেই তিনি তাঁর সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব পালন করবেন।

 

আরো পড়ুন:Neena Gupta: শাহরুখ কন্যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীনা, কি বললেন তিনি?