আত্মহত্যা, খুন নাকি নিছকই দুর্ঘটনা? ই এম বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটনে প্রাক্তন বিমানসেবিকার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্নের ভিড়।জানা গিয়েছে,প্রাক্তন বিমানসেবিকার নাম দেবপ্রিয়া বিশ্বাস (Debapriya Biswas)।বয়স ২৭ বছর।

নিহত দেবপ্রিয়া বিশ্বাস, ২০১৯ সালে কাতার এয়ারওয়েজে (Qatar Airways) চাকরি করতেন।তবে লকডাউনের পর থেকে তিনি আর কোনও কাজ করছিলেন না।শনিবার বিকেলে দেবপ্রিয়া তার দিদির ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। পরিবারের লোকজনের দাবি, দেবপ্রিয়া কাউকে কিছু না জানিয়ে পাঁচতলা আবাসনের ছাদে চলে যায় । কিছুক্ষণের মধ্যে প্রত্যেকেই কিছু নিচে পড়ে যাওয়ার শব্দ পান । স্থানীয় যুবকরা চিত্‍কার চেঁচামেচি শুরু করেন। দেখা যায় ফ্ল্যাটের নিচে পড়ে রয়েছেন দেবপ্রিয়া। চারিদিকে রক্তে ভেসে যাচ্ছে।অভিযোগ, তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সে খবর পাঠালেও, সময়মতো তা এসে পৌঁছয়নি। ততক্ষণে তরুণীর মা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ট্যাক্সি করে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিত্‍সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট জানতে ময়নাতদন্ত জারি রয়েছে।

তবে এদিন রক্তাক্ত অবস্থায় যেখানে বিমানসেবিকায় পড়েছিলেন তখন তার হাতের মুঠোয় পাওয়া গিয়েছে একটি চাবির গোছা।তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।এর সাথে একটি আত্মহত্যার চিঠি (Suicide Note) পাওয়া গিয়েছে।যেখানে তিনি লিখেছেন,-আমি সবসময় তোমাদের মধ্যে আছি, তোমাদের মধ্যেই থাকব। কিন্তু, আমাকে ক্ষমা করে দিও যে আমাকে এটা করতে হচ্ছে। দেবপ্রিয়া আরও লিখেছেন,-আমি সবসময় তোমাদের হৃদয়ে থাকব। যাদের জন্য আজ আমাকে এটা করতে হচ্ছে, তাদের মনের মধ্যেও বেঁচে থাকব। আমি কোনওদিন তাদের ক্ষমা করতে পারব না। কোনওদিন না। চিঠির শেষে আবার বাবা, মা, দিদি এবং বাড়ির বাচ্চাদের ভালোবাসা জানিয়ে নিজের নাম লিখে গিয়েছেন দেবপ্রিয়া।

কিন্তু, কাদের জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল দেবপ্রিয়াকে? কাদের জন্য মানসিক অবসাদের শিকার হতে হল সুন্দরী যুবতী প্রাক্তন এই বিমানসেবিকাকে? পুলিশের কাছে এই বিষয়টাই ধোঁয়াশা লাগছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি পরিবারের পক্ষ থেকে।তবে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পাশাপাশি পরিবারের সদস্য,স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।এখন এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেই,সেটাই দেখার।