মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হলো দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচি।আজ থেকেই”দিদির সুরক্ষা কবচ” কর্মসূচিতে নগর কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন ‘দিদির দূতরা’ (Didir Doot)!মূলত,মূলত রাজ্য সরকারের যে ১৫ টি জনকল্যাণমুখী প্রকল্প রয়েছে সেগুলি থেকে আদৌ সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন কিনা, যদি পেয়ে থাকেন তাহলে কতটা সুবিধা ভোগ করছেন তাঁরা, আর যদি না পান তাহলে কেন পাননি? এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।
এই কর্মসূচিতে গ্রামের অঞ্চলে গিয়ে কী কী করতে হবে, তার সূচিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, দিনের শুরুতে প্রথমে ধর্মীয় স্থান থেকে আর্শীবাদ প্রার্থনা।যেতে হবে পঞ্চায়েত অফিস, সরকারি হাসপাতালে।এরপর স্থানীয় বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে অঞ্চলের সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনবেন নেতারা।এরপর দিনের দ্বিতীয় ধাপেও জনসংযোগ, সভা করতে হবে নেতাদের।দলীয় কর্মীর বাড়িতে নৈশভোজ সেরে রাত্রিবাস করতে হবে সেখানেই।পরদিন সকালে দলীয় অফিসে পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সফর পর্ব।এক্ষেত্রে দলের তরফে একাধিক নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে অঞ্চল সফরে যাওয়া নেতাদের।
এছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছে,বিরাট গাড়ির কনভয় নিয়ে গ্রামে যাওয়া যাবে না।সাধারণ মানুষ যা যা প্রশ্ন করবেন বা বলবেন সেটা ধৈর্য ধরে শুনতে হবে।রাগ, ক্ষোভ,বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না।মমতার সরকারের প্রকল্পগুলির কথা জানাতে হবে।কেউ কোনও প্রকল্পের সুবিধা না পেয়ে থাকলে তার কারণ খুঁজে বলতে হবে।মধ্যহ্নভোজ বা নৈশভোজে চলবে না এলাহি আয়োজন।
উল্লেখ্য,মাস দুয়েক পর এরাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন।তাই তার আগে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ তুরুপের তাস বলে আবার কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা।
আরো পড়ুন:Shubhankar Saha: দেখে নিন জি বাংলার কোন নায়ককে যেতে হয়েছিল এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে