এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সোমবার থেকে তিলোত্তমাতেও শুরু হলো জি ২০ সম্মেলন।সোমবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই সূচনা হয় তিন দিন ব্যাপী এই জি ২০ সম্মেলনের।

এদিনের এই সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় যেহেতু অর্থনীতি ছিল।তাই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে এদিন রাজ্যের উন্নয়ন,একতা এবং কর্মসংস্থান নিয়ে নানা তাৎপর্যপূর্ন ব্যাখ্যা দেন।পাশাপাশি তার বক্তৃতায় উঠে আসে ফের বাম জমানার প্রসঙ্গ।তিনি বলেন,”বামপন্থী মতধারার সঙ্গে লড়াই করে আমি এসেছি। আমি দেখেছি (বাম জমানায়) কোনও অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছিল না।”এরপরই রাজ্যের জিডিপির বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,-“কোভিড কালের ২ বছরে সব দেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।আমাদের রাজ্যও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়।কিন্তু আমাদের রাজ্যের জিডিপি বেড়েছে ৪ গুণ।”একই সঙ্গে তিনি কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিয়েও রাজ্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।বলেন,-“রাজ্যে বেড়েছে কর্মসংস্থান এবং কমেছে দারিদ্রতা।১২ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে এই রাজ্যে।”আরো বলেন,-“স্কুল পড়ুয়াদের সাইকেল এবং স্মার্টফোন দেওয়া হয় এই রাজ্যে।এবং জাতি এবং ধর্ম নির্বিশেষে সকলকেই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।”

পাশাপাশি উল্লেখ করেন,-কন্যাশ্রী,দুয়ারে সরকার,সবুজসাথী,লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্পের কথা।বলেন,-“আমরা ১.২০ কোটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করেছি।সরকারের তরফে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছি।দুয়ারে সরকার প্রকল্পের জন্য আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের থেকেও প্রথম পুরস্কার পেয়েছি।গর্ব করে বলতে পারি,আমরা কন্যাশ্রীর জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের পুরস্কার পেয়েছি।আমরা স্টুডেন্টদের বাইসাইকেল দিচ্ছি।যে সমস্ত মহিলারা কাজ করেন না,তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আমরা টাকা পাঠাচ্ছি।”এছাড়াও তৃণমূল জমানায় রাজ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পে বিনিয়োগ সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।জানান, শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে রাজ্যে এক কোটি কুড়ি লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে এ রাজ্যে।

এছাড়াও এদিন চিরন্তন ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর বার্তা ছড়িয়ে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন,-“আপনাদের দেশ, আমাদের দেশ বলে আমি বিভেদ করি না।গোটা বিশ্বই আমার মাতৃভূমি।আপনারা যখন এখানে এসেছেন,তখন এই বাংলা আপনারও।এত বড় একটা সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে,এই মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য।”

 

আরো পড়ুন:Narendra Modi:ব্রাজিলের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মোদীর