এক সময় ছিল,যখন বিশ্বকর্মা পূজার পর থেকেই ছোট কচিকাচা ও তরুন কিশোররা ঘুড়ি লাটাই হাতে বেরিয়ে পড়তো বাড়ির বাইরে।সারাদিনব্যাপী তারা ঘুড়ি উড়াতো মাঞ্জা দেওয়া সুতো দিয়ে।এর সঙ্গে কাঁচের গুড়ি এরারোড দিয়ে মাঞ্জা দেওয়ার প্রবণতা থাকতো এই জঙ্গলমহলের মানুষদের।এই ঘুড়ি ওড়াইনি এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন ছিল সেই সময়। পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রায় ঘন ঘন মাঞ্জা দেওয়া হতো বিভিন্ন মাঠে-ঘাটে এবং নদীর ধারে। আর সাত সকালেই মুড়ি খেয়ে লেগে পড়তো ঘুড়ি উড়াতে। পাশের ঘুড়ি কেটে ভো-কাটটা বলেই তারস্বরে চেঁচিয়ে উঠত এই তরুণ কিশোররা। শুধু দিনের বেলা না রাতের বেলাও ঘুড়ি উড়ানোরও প্রবণতা ছিল। কিন্তু সেগুলো হয়েছে আজ অতীত জঙ্গলমহল একদা অধ্যুষিত মেদিনীপুরে।
এখনকার বাচ্চারা আর ঘুড়ি লাটাই মজে নি, মজেছে মোবাইল ল্যাপটপ এবং গেমিংয়ে।তারা সোশ্যাল দুনিয়ায় এখন ব্যস্ত তাই ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম,রিলস,টুইটার টেলিগ্রামে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জঙ্গলমহলের মানুষজন।সেই চির পরিচিত ঘুড়ির জনপ্রিয়তা হারিয়েছে আস্তে আস্তে মেদিনীপুর থেকে। ঘুড়ি ওড়ানো কমে গেছে।যেটুকু ওড়ে তাও নাম মাত্র।আজ আর হাতে মাঞ্জা দেওয়া সুতোয় ঘুড়ি ওড়ানো হয় না তার জায়গায় দখল নিয়েছে চিনা মাঞ্জা সুতো আর কাগজের ঘুড়ির জায়গায় দখল নিয়েছে প্লাস্টিকের ঘুড়ি। ঘুড়ি সুতোর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।
যদিও মেদিনীপুর জেলা ও শহরের ঘুড়ির দোকানদাররা অপেক্ষা করে থাকে সেই দিনের।কবে সেই দিন ফিরে আসবে এবং আবার পুরনো চালচিত্র অনুসারে সেই ঘুড়ি ওড়ানোর ধুমধামে মেতে উঠবে মেদিনীপুরের মানুষ জন।
আরও পড়ুন : Uorfi Javed : জাভেদ আখতারের সাথে ছবি শেয়ার করলেন উরফি, কী লিখলেন পোস্টে?