প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর রাজ্য গুজরাটে মদ নিষিদ্ধ।প্রতিবেশী বিহারেও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদ্যোগে মদ বিক্রি বন্ধ।এবার বাংলাতেও মদ বিক্রির পক্ষে জোর দাবি পেশ করলেন স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।সূত্রের খবর,শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের এক জনসভা থেকে এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভায় হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ইন্দ্রনীল ঘোষ-সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্বরা।

সভায় দেদার মদ বিক্রির পাশাপাশি ডিয়ার লটারির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধ্বংস করতে মরিয়া বলেও অভিযোগ করে নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক। আর সে কারণেই রাজ্যের মহিলাদের জোট বাঁধার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “২৮ টাকায় মেহুলের মদের বোতল, আর ভাইপো লটারি, ডিয়ার লটারি, এটাই কি বাংলার বর্তমান আর ভবিষ্যৎ? তাই মায়েরা জোট বাঁধুন, রাস্তায় নামুন। মদ বিরোধী আন্দোলন করুন। বাংলায় মদ বন্ধ করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মদ খাইয়ে বাংলাকে ধ্বংস করতে চাইছে, এর প্রতিবাদ হবে। আর ডিয়ার ভাইপো লটারির বিরুদ্ধে ঝাঁটা ধরুন”।

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে দেশি মদের পাশাপাশি বিদেশি মদও তৈরি হয় এবং তা বিক্রিও হয় প্রচুর। ফলে, মদ বিক্রি থেকে সরকারের কোষাগারে ভালই রাজস্ব জমা হয়। এছাড়া, লটারি থেকেও রাজ্য সরকারের আমদানি কম হয় না বলেই দাবি বিরোধী দলের। অঙ্কের হিসাবে অর্থ সংকটের মধ্যে মদ, লটারি-ই নবান্নের আয়ের অন্যতম উৎস। আর তাই এবার মদ ও লটারি বিক্রির বিরুদ্ধেই সরব হতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। তাদের দাবি যে অমূলক নয় তাও বারংবার প্রমাণিত হয়েছে বছর বছর লাফিয়ে বাড়তে থাকা মদের রাজস্বে। এমনকী বিভিন্ন মরশুমে আবগারি দফতরকে মদের রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত বেঁধে দিতে দেখা গেছে রাজ্য সরকারকে। ভবিষ্যতে বিরোধী দলের এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হয় এবার সেটাই দেখা পালা।

 

আরো পড়ুন:Rathin Ghosh:’দিদির দূতেরা বিজ্ঞাপনের বদলে সরাসরি ময়দানে নেমে কাজ করবেন’সুরক্ষাকবচের অর্থ বোঝালেন খাদ্যমন্ত্রী