‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে,দিদির দূতেরা বিজ্ঞাপনের বদলে সরাসরি ময়দানে নেমে কাজ করবেন’-শনিবার সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে এমনই কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh)।মূলত,এতদিন দুয়ারের সরকারের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প মানুষের সামনে পৌঁছে দেওয়া হত।এবার শুধু দুয়ারে সরকার নয়,দিদির দূত পৌঁছে যাবে প্রত্যেকটা মানুষের বাড়ি বাড়ি।আর এই নয়া উদ্যোগকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দিকে দিকে চলছে সাংবাদিক বৈঠক।তেমনি শনিবার মধ্যমগ্রামের বাদু রোডের ধারে তৃণমূলের কার্যালয়ে দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও এই কর্মসূচিতে এদিন উপস্থিত ছিলেন,পৌরসভা চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ,মধ্যমগ্রাম টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুভাষ ব্যানার্জী,বারাসাত ১নম্বর ব্লক সভাপতি রবিউল ইসলাম,সভানেত্রী হালিমা বিবি,মধ্যমগ্রাম বিধানসভা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ,ব্লকের যুব নেতা উত্তম দাস সহ বিশিষ্টজনেরা।বৈঠকের মাধ্যমে খাদ্যমন্ত্রী জানান,-“আগামী ১১ ই জানুয়ারি থেকে দিদির দূতরা মানুষের দুয়ারে পৌঁছবেন।সাধারণ মানুষ যে দলের সমর্থক হোক,প্রতিটি মানুষের দরবারে ১৫ টি প্রকল্প নিয়ে যাবে দিদির দূতরা।”তিনি আরো বলেন,-“মধ্যমগ্রাম পুরসভার ২৮ টি ওয়ার্ড এবং রোহন্ডা-চন্ডিগড়,খিলকাপুর পূর্ব এবং পশ্চিম,কেমিয়া-খামারপাড়া এবং ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েত নিয়েই মধ্যমগ্রাম বিধানসভা।পঞ্চায়েত এলাকা ধরে ধরে রাত্রিবাস করবেন দিদির দূতরা।”
খাদ্যমন্ত্রীর মতে,-“আমাদের দল কোনো রাজনৈতিক রং দেখে না।প্রতিটি মানুষের পাশে থাকে।আমরা বহু উদাহরণ দেখেছি,যেখানে সাধারণ মানুষ দিদির ১৫ টি প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে অক্ষম।সেটা প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা আবেদনের কিছু ভুলের কারণেই হোক না কেন।এই সমস্যাগুলির সমাধান করার জন্য,দিদির দূতেরা প্রতিটি পরিবারের কাছে পৌঁছবেন এবং এই সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করবেন,যাতে তাঁদের সরকারি সুবিধাগুলি পেতে কোনও অসুবিধা না হয়।এবং সব কিছু জানার শেষে সুরক্ষা কবচের একটা স্টিকার সেই বাড়িতে লাগিয়ে দিয়ে আসবে।”
আরো পড়ুন:Sabyasachi Chowdhury : নতুন রূপে টেলিভিশনে ফিরছেন সব্যসাচী চৌধুরী!