প্রায় গত ২ বছর ধরে একপ্রকার বন্ধই রয়েছে স্কুল-কলেজ(School – College)।

মাঝে দেড় মাসের জন্য স্কুল কলেজের দরজা খুললেও ৩রা জানুয়ারি থেকে ফের তা বন্ধ হয়ে গেছে।

কেন করোনা মহামারির (COVID-19 Pandemic) ছড়িয়ে পড়া আটকাতে স্কুল-কলেজই(School – College) বন্ধ,

কেন বাকি সমস্ত কর্মসূচিতে এর প্রভাব নেই, এই নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজনীতির অন্দর থেকে পাড়ার চায়ের দোকান সর্বত্রই।

এমন গরম পরিস্থিতির মধ্যেই ইউনিসেফ জানিয়েছে স্কুল আর বন্ধ রাখা যাবে না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে, সম্প্রতি UNICEF প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তাঁরা বলেছেন,

“স্কুল(School) বন্ধ রেখে যে বিপদ হচ্ছে তা স্কুল খোলা রাখার চেয়ে অনেক বেশি।”

স্কুল খোলার পক্ষে তিনটি যুক্তি দিয়েছেন তারা।

প্রথমত, পড়াশুনা সহ অন্যান্য অনেককিছু শেখাতে ভীষণ ফাঁকি পড়ে যাচ্ছে শিশুদের। যা শিখেছিল, যেটুকুও পড়তে পারত, তাতেও ব্যাঘাত ঘটেছে স্কুল বন্ধ থাকায়, পুরনো শেখাটুকুও ভুলে গিয়েছে অনেকে।

অনেক পড়ুয়ার ক্ষেত্রেই অঙ্ক শেখার ক্ষেত্রে এক ভয়ঙ্কর ভীতিও তৈরি হচ্ছে স্কুলে না যেতে যেতে। দুই, দেশের দারিদ্র দূরীকরণে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

যে পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারছে না তারা এই দারিদ্রের চক্রব্যুহ থেকে নিজেরা কোনোদিন বের হতে পারবে না, আর আগামী প্রজন্মকেও এই চক্র থেকে বার করতে পারবে না।

তিন, একটা গোটা প্রজন্মের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে দীর্ঘ দু বছর স্কুল বন্ধ থাকাটা।

এটা কখনই মানা যায় না যে বার খোলা, রেস্তরাঁ খোলা, জিম খোলা, কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।

বাচ্চাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুলে পাঠানো উচিত।