গত বছর কোপার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগের ঘটনা। সোজা মেসির রুমে চলে গিয়েছিলেন মার্টিনেজ (Emi Martinez)। বলেছিলেন, “তোমার জন্য আমি জীবনটাও দিয়ে দিতে পারি।” বাকিটা ইতিহাস। সিনিয়র দলের হয়ে কোনও ট্রফি না জেতা মেসির হাতে উঠেছিল প্রথম ট্রফি, কোপা আমেরিকা। আর এবার তাঁর প্রিয় অধিনায়কের হাতে এনে দিলেন একেবারে বিশ্বকাপ। শুধু অতিরিক্ত সময়ের এই সেভটাই বা কেন? টাইব্রেকারেও আটকালেন ফ্রান্সের শট। সেখানেই ফরাসিদের মনোবল নেমে যায় তলানিতে। এরপর মার্টিনেজকে(Emi Martinez) বিশ্বকাপের সেরা গোলকিপার হিসেবে ‘গোল্ডেন গ্লাভস’-এর মালিকানা দিতে কোনও অসুবিধাই হয়নি ফিফার।
কিন্তু পুরস্কার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ কী করলেন তিনি! গোল্ডেন গ্লাভস হাতে ফটোগ্রাফারদের দিকে এমন অশালীন পোজ দিলেন, যা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এল। বিশেষ করে কাতারে। তাহলে কি এতদিন ধরে নানা ইস্যুতে কাতারের বিভিন্ন আইনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখলেন? বললেন, “টাইব্রেকারের সময় ফরাসিরা আমার সঙ্গে যা করেছে, এটা তারই জবাব।” এতটা উত্তেজিত ছিলেন বলেই হয়তো ড্রেসিংরুমে সেলিব্রেশনের সময় এমবাপের নামে এক মিনিট নীরবতা পালন করতে বলেন তিনি।
কিন্তু শেষের মুহূর্তটা? যখন মুয়ানি বল নিয়ে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন? মুহূর্তটা বলতে গিয়ে তখনও যেন হাফাচ্ছিলেন বিশ্বকাপের সোনার গ্লাভস পাওয়া গোলকিপার। “ভগবান সহায় ছিলেন। ঠিক সময়ে বাঁ পা-টা বাড়িয়ে দিতে পেরেছিলাম বলে ওর শটটা আটকে যায়।” টাইব্রেকারের সময় নিজের মনের অবস্থা কীরকম ছিল, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার। “টাইব্রেকারের সময় অদ্ভুত ভাবে আমি ভীষণ শান্ত হয়ে যাই। মাথা ঠান্ডা রেখে শুধু নিজের কাজটা করে গিয়েছি। ব্যস তাতেই হয়েই গিয়েছে,” হাসতে হাসতে বলে চলে গেলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর গোলকিপার এমিলিয়ানো ডিবু মার্তিনেজ(Emi Martinez)।
Image source – Google