আর্জেন্টিনায় তখন ঘড়ি কাঁটা রাত ৩’টে ছুঁয়েছে। এরোলাইনেস আর্জেন্টিনাসের এয়ারবাস ‘এ ৩৩০-২০০’ আর্জেন্টিনার মাটি স্পর্শ করেছে। নীল – সাদায় মোড়া পুরো বিমান, বিমানের এমপেনেজে বিরাট ছবি লিওনেল মেসির(Lionel Messi) এবং তার দুই পাশে রড্রি ডি পল এবং লাউতারো মার্টিনেজের ছবি। এর কিছু সময় খুলল বিমানের গেট এবং দেখা মিলল বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্তের।
হাত বিশ্বকাপ নিয়ে গোলায় বিজয়ীর মেডেল পরে বিমান থেকে বের হলেন ফুটবল যুবরাজ লিওনেল মেসি(Lionel Messi)। পরনে আর্জেন্টিনার নীল শর্টস এবং একই রঙের টি-শার্ট। তাঁর পিছনে ধীরে ধীরে বের হলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি এবং বাতি সতীর্থরা। লাইতারো মার্টিনেজ বের হলেন গলায় ড্রাম এবং হাতে স্টিক নিয়ে। রেড কার্পেট পেতে বরণ করা হয় লিওনেল মেসির(Lionel Messi) দলকে। বিমান বন্দরে মেসিদের জন্য অপেক্ষা করছিল হুডখোলা বাস, সেই বাসটিও মোড়া লিওনেল মেসি এবং আর্জেন্টিনা দলের ওয়ালপেপারে। আর্জেন্টিনার রাজধানীতে এখন তাপমাত্র ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মধ্যরাতে, হালকা ঠাণ্ডার আমেজের কাতারে কাতারে মানুষ অপেক্ষারত ছিলেন লিওনেল মেসির দলকে বরণ করে নেওয়ার জন্য। এয়ারপোর্ট চৌহদ্দি ছড়ানোর পর ধরা পড়ে জনসমুদ্রের ছবি। সাধারণ মানুষ এবং সমর্থকদের জন্য আগে থেকেই রাস্তার দুই ধারে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। শুধু ফাঁকা ছিল বাস যাওয়ার মতো জায়গা। যে ছবি ধরা পড়েছে তাতে রাস্তার ফাঁকা অংশ ছাড়া সর্বোত্রই শুধু কালো কালো মাথা। লক্ষ লক্ষ মানুষ হাজির হয়েছেন লিওনেল মেসি এবং তাঁর দলকে বরণ করে নেওয়ার জন্য। জনসমুদ্র বললেও এই জনবিস্ফোরণকে ব্যাখ্যা করা যাবে না, এতটাই পরিমাণ লোক ছিল।
দীর্ঘ ৩৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ এসেছে আর্জেন্টিনায় এই আবেগ সামলানো কঠিন সেই দেশের মানুষদের জন্য যাঁরা বাঁচানে ফুটবলকে ঘিরে। মূল্যবৃদ্ধি বিশাল ভাবে আঘাত হেনেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আর্জেন্টিনার সাধারণ মানুষের জীবনে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও লিওনেল মেসি(Lionel Messi) এবং তাঁর দলের বিশ্বকাপ জয় এই মানুষগুলোর মুখে হাসির রেখা ফোটাতে পেরেছে এটাই হয়তো আর্জেন্টিনার ফুটবলরাদের সব থেকে বড় সাফল্য।
Image source – Google