পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার স্থান বরাবরই সংবাদের শিরোনামে। রাজনৈতিক শ্লোগান ‘ভয়ংকর খেলা হবে’ হোক বা ‘কাঁচা বাদাম’-এর মতো ভাইরাল গান হোক, বেশীরভাগটাই বীরভূমের অন্তর্গত। তবে এবার কোনো রাজনৈতিক শ্লোগান বা ভাইরাল কোনো গান নয়, এবার বিতর্ক বীরভূমের বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে (Bakreswar Thermal Power Plant) নিয়ে।

প্রায় আড়াই দশক আগে গড়ে উঠেছে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (Bakreswar Thermal Power Plant)। আর এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে যারা নিজেদের জমি দিয়েছিলেন, তারাই আজ বীরভূমের সিউরির জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে গড়ে তুলেছেন বিক্ষোভ।

বিক্ষোভকারীরা কার্যত দাবী করছেন যে, দেওচা-পাঁচামীতে কয়লা প্রকল্পের জন্য যদি ভূমিদাতাদের চাকরি দেওয়া হয় তাহলে তাদের কেন চাকরি দেওয়া হবে না। মূলত এই দাবীর জেরেই তারা বিক্ষোভ গড়ে তুলেছেন।

এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন জানান, “প্রায় ২০ বছর আগে আমি আমার জমি দিই বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (Bakreswar Thermal Power Plant) গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে। এবং সেইসময়, আরও যারা জমি দিয়েছিলেন তাদের প্রত্যেককেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় পরিবারপিছু একজনের চাকরি দেওয়া হবে বলে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি, প্রতিশ্রুতি হয়েই থেকে যায়। এখনও পর্যন্ত সেই চাকরি দেওয়া হয়নি। হ্যাঁ, হয়তো তাদের মধ্যে হাতেগোনা ৪ থেকে ৫ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে কিন্তু ৩০০-র বেশী মানুষ এখনও চাকরি পায়নি।”

এছাড়া তিনি আরও বলেন- “এখন আমাদের জমি নেই তাই চাষবাস করেও তো খেতে পারছিনা আর চাকরিও নেই, তাহলে আমাদের কী অবস্থা হবে?”

অর্থাৎ তাদের একাংশের দাবী, দীর্ঘদিন হল তারা জমি হারিয়েছেন অথচ এখনও পর্যন্ত তারা চাকরি পাননি। অতএব, দেওচা-পাঁচামী কয়লা প্রকল্প শুরু হওয়ার আগেই কথা উঠছে চাকরি নিয়ে, কেননা সেখানেও রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চাকরি দেওয়ার। যদিও বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (Bakreswar Thermal Power Plant) গড়ে ওঠার সময় রাজ্যে ছিল বামফ্রন্ট সরকার, কিন্তু সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরেও তারা এখনও চাকরি থেকে বঞ্চিত, এমনটাই দাবী তাদের। আর এই মর্মে তারা তাদের আবেদনপত্র জমাও দেন জেলাশাসকের দপ্তরে।