মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে অজমেঢ় যাবেন, তা আগে থেকেই ঠিক হয়েছিল।সেই মতো মঙ্গলবার দুপুরে অজমের শরিফে খোয়াজা মইনউদ্দিন চিস্তির দরগায় পৌঁছন তিনি।ফুল, চাদর, ধূপ কেনেন বাইরে।তারপর সেই ঝুড়ি মাথায় তুলে নেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।সেই নিয়ে তিনি ঢোকেন দরগায়।এছাড়াও এদিন আজমেঢ় শরিফে দরগায় চাদর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।সেখানে তিনি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করেন।

মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য এ দিন অজমেঢ় শরিফে প্রচুর উত্‍সাহী মানুষের ভিড় জমেছিল।বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে থেকে দেখা এবং ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা।আর মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরের জন্য রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে আগেভাগেই আঁটোসাঁটো পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।বিশেষ রুটও তৈরি করে দিয়েছিল রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকার।

জানা গিয়েছে,অজমের শরিফ থেকে থেকে পুষ্করও যাবেন মমতা।সেখানে রয়েছে ব্রহ্মার মন্দির।কেন্দ্রে রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই দুই জায়গায় রেল পরিষেবা চালু করেছিলেন তিনি। আবারও এই দুই জায়গায় সফরে এলেন মমতা। এদিন এই সফরের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মমতা, এমনই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।

পাশাপাশি,সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে।আগামীকালই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন।ওই অধিবেশনে দলের রণকৌশল কী হবে,তা নিয়ে তৃণমূলের সাংসদদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন।

 

আরো পড়ুন:Mamata Banerjee:মঙ্গলবার রাজস্থান সফরে মুখ্যমন্ত্রী