বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের(India vs Bangladesh ODI Series) প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে আশানরূপ পারফর্ম করতে পারল না ভারতীয় দল। দুর্বল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫০ ওভার টিকতে পারল না রোহিত শর্মার দল। ৪১.২ ওভারে ভারতীয় দলের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৮৬ রানে। এই ম্যাচে একমাত্র ঠিকঠাক রান পান কে এল রাহুল। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ঝকঝকে ৭৩ রান।

শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে এ দিন টসে জিতে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাসের সিদ্ধান্ত কার্যকর প্রমাণিত হয় তাঁর দলের বোলারদের সাফল্যের কারণে। মূলত শাকিব আল হাসান এবং এবাদত হোসেনের দাপটু বোলিং কোনঠাঁসা করে দেয় ভারতকে।

প্রতিবেশী দেশটির বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি নিয়েই মাঠে নেমেছিল ভারত। রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলির মতো প্রথম একাদশের সেরা তারকারা খেলেন এই ম্যাচে। কিন্তু নক্ষত্রখচিত ভারতীয় দল পারেনি নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে। রোহিত শর্মা শুরুটা ভাল করলেও প্যাভিলিয়নে ফেরেন ২৭ রানে। শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ রান স্কোরার বিরাট কোহলি ৯ রানে প্রথম একদিনের ম্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। চার নম্বরে ব্যাটং করতে নামা শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রানের ইনিংস।

এই অবস্থায় ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন কে এল রাহুল। ভারতকে কিছুটা লড়াই চালানোর মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে আসে রাহুলের ৭৩ রানের ইনিংস। ৫টি চার এবং ৪টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস তিনি সাজিয়েছিলেন। এ ছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে খেলা ওয়াশিংটন সুন্দর করেন ১৯ রান। প্রথমে দলে রাখা হলেও কোনও বিশেষ কারণে ওডিআই সিরিজের(India vs Bangladesh ODI Series) দল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে ঋষভ পন্থকে যার ফলে তাঁর সার্ভিস এই সিরিজে পাবে না ভারতীয় দল। ১৫২ থেকে ১৫৬ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় ভারত। বাংলার ক্রিকেটার শাহবাজ আহমেদ প্রথম ম্যাচেই দলে সুযোগ পান। কিন্তু ০ রানে আউট হন তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে একাই পাঁচটি উইকেট নেন শাকিব আল হাসান। ১০ ওভারে মাত্র ৩৬ রান খরচ করেন তিনি। এই ১০ ওভারের মধ্যে দুইটি ছিল মেডেন ওভার। চারটি উইকেট পান এবাদত হোসেন। মেহদি হাসান মিরাজ একটি উইকেট পান এই ম্যাচে। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি আউট হয়েছেন শাকিব আল হাসানের বলে।

 

Image source – Google