শনিবার কাঁথিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সভা করেন।আর বিরোধী দলনেতার গড়েই তাকে একের পর এক বিষয়ে এদিন আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাঁথির সভায় অভিষেক বলেন,’যে মাসে ক্ষুদিরামের জন্ম, তাম্রলিপ্ত সরকার তৈরি হয়েছিল সেই মাসেই বিশ্বাসঘাতক (শুভেন্দু অধিকারী) দল ছাড়ল। ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে নিজের ঘাড়-পিঠ বাঁচাতে দু’বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। মেদিনীপুরের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। তাঁকে ৫০০ বছর বিশ্বাসঘাতক মিরজাফর বলে মানুষ কটাক্ষ করবে।’
অভিষেক অভিযোগ করেন, ‘হেরেছে বলে শুধু তৃণমূলের সঙ্গে নয়। বাংলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করেছে। আমরা উন্নয়নের পক্ষে কথা বলি। আর, ওরা হিন্দু-মুসলমান বিভেদ করে গন্ডগোল পাকাতে চায়। হেরেছে বলে বাংলার একের পর এক প্রকল্প আটকে রেখেছে। এমনকী, ১০০ দিনের কাজে বাংলার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকাও আটকে রেখেছে। বিজেপির সাংসদ বাঙালিদের রোহিঙ্গা বলছেন, বাংলাদেশি বলছেন। কিন্তু, তারপরও দেখবেন শুভেন্দু অধিকারীর এনিয়ে কোনও প্রতিবাদ নেই।’
এর পাশাপাশি, অভিষেক জানান, অধিকারীরা চলে যাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সুবিধাই হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী হামেশাই বলেন, অধিকারী পরিবার না-থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। আমি বলি আপনারা গিয়ে ভালোই হয়েছে। ২০১১ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল তখন ২১১টা সিট পেয়েছিল। আর, ২০২১ সালে আধাসামরিক বাহিনী দিয়ে যখন নির্বাচন হল, তখন তৃণমূল কংগ্রেস ২১৫টা আসন পেয়েছে। কারণ, তখন তৃণমূল কংগ্রেসে অধিকারী পরিবার ছিল না।’
নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে অভিষেক আরও বলেন, “এ রাজ্যের সবথেকে বড় ঘুষখোর, তোলাবাজের নাম কী? টিভির পর্দায় কাকে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল, সুদীপ্ত সেন কার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছে?”
আরো পড়ুন:Dilip Ghosh:স্কুল বন্ধ করে পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে তৃণমূলের সভাকে,কটাক্ষ দিলীপের