আগামী বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন।তার আগে অস্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কামারহাটির তৃণমূল (Tmc) বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)।আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজ্য মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) সাথে তর্ক বিতর্ক।অবশেষে সেই বিতর্কের মাঝে বন্ধু-প্রীতিতেই মিটল সমাধান।

কলকাতা পুরসভার মেয়রের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে মদন মিত্র এগিয়ে এসে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলেন। মদন মিত্র এদিন বলেছেন, ‘কোনও অন্তর্দ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। ববি আমার প্রিয় ভাই। ও আমাকে বিরিয়ানি খাওয়াক।’ এই বার্তা দেওয়ায় মেয়র তাঁকে বিরিয়ানি খাওয়াবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দ্রুতই তা খাওয়ানো হবে বলে সূত্রের খবর।

জানা যায়,ঘটনার সুত্রপাত হয় অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে কামারহাটির বিধায়কের বক্তব্য দিয়ে। তিনি বলেছিলেন, ‘‌আমি বলেছি কোথায় কোথায় পৌঁছচ্ছে জানালে আমাদের সুবিধা হয়। আমাদের কর্মীরা ওগুলি নিয়ে নেবে। আমাদের কাছে ওগুলির ট্রেনার ভাল রয়েছে। এক্স আর্মি, কর্ণেল। প্র্যাকটিসটা করে রাখবে। যাতে বিজেপি ব্যবহার করতে না পারে। শেখাবে। দেখাবে। আমাদের কর্মীদের অভিনয় শেখানো হবে। এক্স আর্মি যাদের অনুমোদন রয়েছে তারা শেখাবে। আমাদের কর্মীরা শিখবেন।’‌

আর তাঁর এই বক্তব্যের পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের মেয়র ফিরহাদ হাকিম।তিনি বলেছিলেন,’পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়! মদন মিত্র বলছেন কে?ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষমতা নেই।তিনি পঞ্চায়েত এলাকায় থাকেন না।রাজ্যের মন্ত্রী নন।ফুচকি ফুচকি কথা বলে প্রেস অ্যাট্র্যাকশন করা যায়।আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছেন, সেটাই ফাইনাল।ভোট শান্তিপূর্ণ হবে।’আর এই বক্তব্যের পরই তাদের মধ্যে বেড়েছিল দূরত্ব। অবশেষে সেই দূরত্ব মিটল।

 

আরো পড়ুন:Bikash Ranjan Bhattacharya : সমাবেশে এসে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন সিপিআইএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য