এলাকাবাসীর আশঙ্কা সত্যি হলো, ইতিমধ্যে নদীর ধ্বসে তলিয়ে যেতে বসেছে প্রায় ২৫ টির মত দোকান ঘর, বাদ গেল না প্রাচীন লক্ষ্মী মন্দির। যেকোনো মুহূর্তে ধস বড় আকার ধারণ করলে আরো কিছু দোকান-বাড়ি তলিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্খায় চরম আতঙ্কে প্রহর গুনছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের খুকুড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষী বাজার কমিটির দোকানদারেরা।
জানা যায় কয়েক মাস আগেই সেচ দপ্তর দূর্বাচটি নদী খননের কাজ শুরু করেছিল, আর এই দূর্বাচটি নদী লাগোয়া বহু দোকানদার বছরের পর বছর ধরে দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো, আর সেই সময় এলাকাবাসীদের দাবি তুলেছিলেন যে নদী খনন অ বৈজ্ঞানিক ভাবে হচ্ছে, নদী যে পরিমাণে গভীর করা হচ্ছে এর ফলে নদী লাগোয়া যে সমস্ত দোকানগুলো আছে সেগুলি যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।
কিছুদিন আগে বর্ষা সময় একটা চরম আতঙ্কে ছিল এই সমস্ত দোকানদারেরা, কিন্তু শীতের সময় হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বৃষ্টি আর এই বৃষ্টিতে মাটি নরম হতেই দেখা দিয়েছে বিরাট ধস, প্রায় ২৫টির মত দোকান নদীর দিকে ঝুঁকে গিয়েছে যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়বে নদীতে। পাড় লাগোয়া কংক্রিটের যে সমস্ত দোকান-বাড়ি গুলি ছিল সেখানেও দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। এমনকি কংক্রিটের বড় লক্ষ্মী মন্দিরের মাঝ বরাবর ফাটল, আর এই ফাটল থেকে যেকোনো মুহূর্তে বাড়িগুলি ধসে পড়লে জনবহুল এলাকায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন : Virat Kohli : টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়ক পদ থেকে অবসর কোহলির
যদিও বাজার কমিটি থেকে শুরু করে দোকানদার একটা দাবি তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা তারা বারেবারে প্রশাসনকে লিখিত আকারে আবেদন জানিয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসন উদাসীন। কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না এই সমস্ত দোকানদারদের বিষয়ে।
তারা চাইছেন দ্রুত প্রশাসন তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক, না হলে তারা আগামী দিনগুলি কি করে চলবে। কারণ দোকানের উপরে তাদের মূলত জীবিকা নির্বাহ করতো সংসার চলত। এখন দেখার প্রশাসন কবে এই সমস্ত দোকানদারদের কথা ভাবে।