মাত্র ২৪ ঘণ্টার ভিতরেই সুরবদল মানিক ঘনিষ্ট তাপস মণ্ডলের (Tapas Mandal)।এতদিন যিনি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন।অবশেষে তিনি এই বিষয়ে নিজের মত গতকালই ব্যক্ত করেছিলেন।তদন্তকারীদের কথা যে সত্য,দুর্নীতির কান্ডারী যে মানিক ভট্টাচার্য।তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তাপস।

আর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আবারও অন্য কথা বলতে শোনা গেলো তাকে।সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে তাঁর দাবি, টাকা পর্ষদে যেত।মানিক ভট্টাচার্য নিতেন কিনা, তা তিনি বলতে পারবেন না।কেন নিজের বয়ান বদল করলেন মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’, তা নিয়ে ফের উঠছে প্রশ্ন।

উল্লেখ্য,বুধবারের ম্যারাথন জেরার আগেই সাংবাদিকদের কাছে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল।যা কার্যত সিলমোহর দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আনা ইডির অভিযোগেই।ম্যারাথন জেরার আগে তাপস বলেছিলেন, ‘অফলাইনে ভর্তির টাকার জন্য মহিষবাথানের অফিসে লোক পাঠিয়েছিল। আমার স্টাফরা তাই বলেছে। স্টাফরা বলেছে, অফিস থেকেই ফাইল ও টাকা যেত।’ কার কাছে সেই টাকা যেত? জবাবে তাপস বলেন, ‘নিশ্চয়ই উনি লোক পাঠাতেন মানে ওনার কাছেই যেত।’ উনি কে? তাপসের উত্তর ‘মানিক বাবু।’ তাপস মণ্ডল কি জানতেন এই টাকা দেওয়ার বিষয়টি? তাপস মণ্ডল বলেন, ‘হ্যাঁ, পাঁচ হাজার টাকা করে অফলাইনের ফি তো দিতেই হত।’এরপর গতকাল রাত্রিবেলা ইডি জেরা শেষে বাইরে বেরিয়ে তাপস বলেন, ‘২১ কোটির হিসেবের গড়মিল রয়েছে। বলেছি আমার শরীর ভালো নয়। একটু সময় দিন। কাল এসে সব জানাব।’ সেই সূত্রেই আজ ফের গোয়েন্দাদের জেরার মুখোমুখি হবেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল।

কিন্তু বৃহস্পতিবার সিজিও-তে ইডি দফতরে প্রবেশের আগে অন্য দাবি করেছেন তাপসবাবু। বলেন, ‘কাল যা হিসাব দেওয়ার দিয়েছি। এই টাকা সরাসরি বোর্ডে যেত। গতকাল আমি নিজে সময় দিয়েছিলাম। বলেছিলাম আজ আসব। এসেছি। আমার চুক্তি হয়েছিল ছাত্র প্রতি ৫০০ টাকা নেওয়া হবে। কে নিয়ম ভেঙেছে সেটা আমি বলতে পারব না। মানিকবাবু টাকা নিয়েছেন কি অন্য কেউ টাকা নিয়েছেন, সেটা বলতে পারব না। যে টাকা উঠেছে তা বোর্ডে পাঠাতাম।’

 

আরো পড়ুন:Manik Bhattacharya:মানিক লোক পাঠিয়ে টাকা তুলতেন!বিস্ফোরক মানিক ঘনিষ্ট তাপস মন্ডল